বিক্ষোভে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা জানান, প্রভোস্টের পদত্যাগ না হওয়া পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। এদিকে বিক্ষোভের খবর পেয়ে রোকেয়া হল সংসদ নির্বাচনের চিফ রিটার্নিং অফিসার ফারহানা ফেরদৌসীসহ কয়েকজন আবাসিক শিক্ষককে সেখানে গিয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলতে দেখা গেছে।
কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদে (ডাকসু) স্বতন্ত্র জোট থেকে স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক পদে নির্বাচন করা শ্রবণা শফিক দীপ্তি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘প্রভোস্ট টালবাহানা করছেন। আমরা তার পদত্যাগ চাই। উনাকে পদত্যাগ করতে হবে, নয়তো আমরা আন্দোলন থামাবো না।’
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, ‘তারা প্রায় চার ঘণ্টা ধরে আন্দোলন চালিয়ে আসলেও ঘটনাস্থলে আসেননি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও হল প্রভোস্ট। প্রক্টরকে বারবার শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে ফোন করা হলেও তিনি আসেননি। তিনি সকালে আসবেন বলে জানিয়েছেন। ঘটনাস্থলে দুজন হাউস টিউটর উপস্থিত রয়েছেন। তারাও প্রক্টরের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছেন।’
উল্লেখ্য, গত ১১ মার্চ ডাকসু নির্বাচন চলাকালে রোকেয়া হলে ভোট কেন্দ্রের পাশের একটি কক্ষ থেকে তিন ট্রাংকে ফাঁকা ব্যালট পেপার উদ্ধার করাকে কেন্দ্র করে অস্থিরতা শুরু হয়। নির্ধারিত সময়ের এক ঘণ্টা পর ভোট শুরু এবং তার এক ঘণ্টা পর আবার ভোট বন্ধ হয়। কয়েক ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর বিকেল ৩টায় ফের ভোট শুরু হয়।