মঙ্গলবার (১২ মার্চ) সন্ধ্যা ৬ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এ শিক্ষার্থীরা অনশন শুরু করেন। ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনের পুনঃতফসিল ঘোষণার আগে ১১ মার্চের নির্বাচনের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের পদত্যাগের দাবিও জানাচ্ছেন তারা৷এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর গোলাম রব্বানী বলেছেন, ‘তারা বসতে চেয়েছেন কিন্তু তার সহকর্মীরা জানিয়েছেন, অনশনকারীরা বসতে চায় না। যদিও অনশনকারীরা বলছেন, এমন কোনও ঘটনা ঘটেনি। আমরা এর কিছুই জানি না।’
রোকেয়া হলেও অনশন
তাদের অনশনের বিষয়ে প্রক্টর গোলাম রব্বানী বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘গতকাল (বুধবার, ১৩ মার্চ) বেলা ১১টায় তাদের সঙ্গে আমাদের বসার কথা ছিল, এটা আগেই নির্ধারিত হয়েছিল। তাদের (শিক্ষার্থী) পক্ষ থেকে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগও করা হয়নি। আমরা যোগাযোগ করেছি, হয়তো তারা বসবে না। তারা বসবে না এটা আমার সহকর্মী জানিয়েছেন। এখন তাদের জিজ্ঞেস করেন তারা কেন বসছে না।’
তবে ভিন্ন কথা বলছেন অনশনকারী ভূতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থী আল মাহমুদ তাহা। তিনি বলেন, ‘প্রশাসনের দায়িত্বশীল কারও সঙ্গে আমাদের কোনও কথা হয়নি। প্রথমদিন এসেছিলেন তারা, আমরা কয়জন আছি সেটা দেখতে। পরে যখন আমরা দুজন অনশনকারী বেড়ে গেছি, তারপরও ওনারা আসছেন শুধু দেখতে। আমাদের কিছু বলেন নাই বরং এখানে যারা বিক্ষোভ করছিল তারা স্যারদের কাছে গিয়ে বলেছে- এখানে ৬টা ছেলে মারা যাচ্ছে, আপনারা কী করছেন? তারা কোনও কথাই বলেননি।’
দুইদিন শিক্ষার্থীরা আমরণ অনশনে থাকার পরেও প্রশাসনের টনক না নড়া প্রসঙ্গে ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক কাজী মারুফুল ইসলাম বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের দাবি থাকতেই পারে। তাদের দাবিতে সাড়া দেওয়া না দেওয়া পরের কথা কিন্তু তাদের কথা তো শুনতে হবে। ওরা তো আমাদের ছেলে-মেয়ে। তাদের কথা শোনা তো আমাদের দায়িত্ব।’