সীমান্তে নজরদারি বাড়ানোর তাগিদ
বৈঠকে দেশের সাম্প্রতিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যালোচনায় সরকারের আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি গোয়েন্দা নজরদারি জোরদার করার ওপর জোর দিয়েছে। সভায় আরও বলা হয়, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বসবাসকারী মিয়ানমারের নাগরিকরা যাতে অস্ত্র ও মাদক চোরাকারবারের সঙ্গে সম্পৃক্ত হতে না পারে সেজন্য অভিযান অব্যাহত রাখতে হবে। সীমান্তে নজরদারি বাড়াতে হবে। এজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
মাদক চোরাকারবারির বিরুদ্ধে পাঁচ হাজারে বেশি মামলা
এছাড়া আইনশৃঙ্খলা বাহিনীগুলোকে সীমান্ত এলাকায় মাদক চোরাচালান বন্ধে টহল জোরদার করতে বলা হয়েছে। গত বছরের (২০১৮) অক্টোবর থেকে ৩১ জানুয়ারি (২০১৯) পর্যন্ত সাত হাজার ৪১৫টি অভিযান চালানো হয়েছে। এসব অভিযানে দুই হাজার ৪১জন মাদক অপরাধীর বিরুদ্ধে এক হাজার ৮৯৪টি মামলা করা হয়েছে। অন্যদিকে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর একই সময়ে ১৯ হাজার ৫৭৫টি অভিযানে পাঁচ হাজার ৬১৭ জন মাদক চোরাকারবারির বিরুদ্ধে পাঁচ হাজার ২৬৬টি মামলা করেছে।
জানুয়ারিতে ৩২৫ হত্যাকাণ্ড
মাসিক আইনশৃঙ্খলা প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ডিসেম্বরে (২০১৮) রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছে নয়জন। জানুয়ারিতে (২০১৯) হয়েছে চারজন। ডিসেম্বরে (২০১৮) অরাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছে ২২৮ জন। জানুয়ারিতে (২০১৯) হয়েছে ৩২৫ জন। এনকাউন্টারে ডিসেম্বরে (২০১৮) নিহত হয়েছে দু’জন। জানুয়ারিতে (২০১৯) নিহত হয়েছে পাঁচজন।
ধর্ষণের ঘটনা বেড়েছে
ডিসেম্বরে (২০১৮) ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে ১৯৬টি। জানুয়ারিতে (২০১৯) ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে ২৭৬টি। একই সময়ে নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনা ৬১৬ থেকে বেড়ে ৭৯৩টি হয়েছে। অপহরণের ঘটনা ৩১ থেকে বেড়ে ৫১টি হয়েছে। চুরি-ডাকাতির ঘটনা ৪৮৬ থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৫৮টি।
আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভাপতি মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ‘অতীতের তুলনায় দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অনেক ভালো। যারা মাদক চোরাকারবার করে তারা খারাপ লোক। তাদের নিয়ন্ত্রণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীগুলো সফলতার সঙ্গে কাজ করছে।