অরিত্রী আত্মহত্যার মামলায় তিন শিক্ষিকার হাজিরা

অরিত্রী অধিকারী (ছবি: ফোকাস বাংলা)

ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির ছাত্রী অরিত্রী অধিকারীর আত্মহত্যা প্ররোচনার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ওই প্রতিষ্ঠানের তিন শিক্ষিকা আদালতে হাজিরা দিয়েছেন। এরপর অদালত মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ১০ এপ্রিল দিন ধার্য করেন।

সোমবার (১৮ মার্চ) এ মামলাটির তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল এবং আসামিদের হাজিরার দিন ধার্য ছিল।  আসামিরা হাজিরা দিলেও তদন্ত কর্মকর্তা প্রতিবেদন দাখিল না করায় ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতের বিচারক সাদবীর ইয়াছির আহসান চৌধুরী পরবর্তী দিন নির্ধারণ করে আদেশ দেন।

মামলার অভিযুক্তরা হলেন— ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌস, শাখা প্রধান জিন্নাত আরা ও শ্রেণি শিক্ষক হাসনা হেনা।

এর আগে ২০১৮ সালের ৫ ডিসেম্বর শ্রেণি শিক্ষিকা হাসনা হেনাকে এ মামলায় গ্রেফতার করে পুলিশ। ৯ ডিসেম্বর তিনি জামিন পান।

এ বছরের ১৪ জানুয়ারি ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌস, জিন্নাত আরা আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করলে বিচারক তাদের জামিন দেন।

মামলার এজাহারে অভিযোগ করা হয়, গত ২ ডিসেম্বর স্কুলে পরীক্ষা চলাকালে শিক্ষকরা অরিত্রীর কাছে একটি মোবাইল ফোন পান। মোবাইলে নকল করার অভিযোগে অরিত্রীর মা-বাবাকে স্কুলে আসতে বলা হয়।

এরপর ৩ ডিসেম্বর অরিত্রীর মা- বাবা মেয়েকে নিয়ে স্কুলে গেলে ভাইস প্রিন্সিপাল তাদের অপমান করেন, কক্ষ থেকে বের করে দেন এবং মেয়ের টিসি (স্কুল থেকে দেওয়া ছাড়পত্র) নিয়ে যেতে বলেন। পরে অরিত্রীর মা-বাবা প্রিন্সিপালের কক্ষে গেলে তিনিও একই আচরণ করেন। এসময় অরিত্রী দ্রুত প্রিন্সিপালের কক্ষ থেকে বের হয়ে বাসায় যায়। পরে অরিত্রীর অভিভাবকরা তাদের শান্তিনগরের বাসায় ফিরে এসে দেখতে পান— অরিত্রী তার কক্ষে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়নায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় ঝুলছে। তখন অরিত্রীকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা তাকেমৃত ঘোষণা করেন।

ওই ঘটনায় ৪ ডিসেম্বর রাজধানীর পল্টন থানায় অরিত্রীর বাবা দিলীপ অধিকারী বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন।