স্বাস্থ্য অধিদফতরের আবজালের ৫ বাড়ি ও ফ্ল্যাট ক্রোক

আবজাল হোসেন

স্বাস্থ্য অধিদফতরের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী আবজাল হোসেন ও তার স্ত্রী রুবিনা খানমের উত্তরার পাঁচটি বাড়ি ও বাড্ডার একটি ফ্ল্যাটে ক্রোকের নোটিশ টানিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

খুলনা, ফরিদপুর ও রাজবাড়ীতেও দুদকের স্থানীয় কর্মকর্তারা আবজালের স্থাবর সব সম্পদে ক্রোকের নোটিশ টানিয়েছে। মামলা তদন্তের সময় ক্রোকের ঘটনা ঘটলেও অনুসন্ধান পর্যায়ে কোনও ব্যক্তির সম্পদ ক্রোকের ঘটনা এটাই প্রথম।

সোমবার (১৮ মার্চ) দুদকের উপ-পরিচালক তৌফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে ১৫ জনের একটি টিম আবজালের উত্তরার পাঁচটি বাড়ি ও বাড্ডার ফ্ল্যাট ক্রোক করে।

গত ২১ জানুয়ারি দুদকের আবেদনের কারণে আবজাল ও রুবিনার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ ক্রোক, হস্তান্তর বা লেনদেন বন্ধ এবং ব্যাংক হিসাবের লেনদেন জব্দের আদেশ দেন ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালত।
সোমবার প্রথম অভিযান হয় উত্তরা ১৩ নম্বর সেক্টরের ১১ নম্বর সড়কের ৪৭ নম্বরে আবজাল দম্পতির মালিকাধীন ‘তামান্না ভিলা’য়। পাঁচতলা এই বাড়িটির পঞ্চমতলাতেই থাকতেন আবজাল ও তার পরিবার। ক্রোকের সময় পঞ্চমতলায় তাদের ফ্ল্যাটটি তালাবদ্ধ ছিল। তামান্না ভিলায় আরও আটটি পরিবার ভাড়ায় থাকে। বাড়ি ক্রোকের সময় আবজাল ও রুবিনা বাড়িতে ছিলেন না। জানুয়ারি মাসের শেষ সপ্তাহে তারা এ বাড়ি ছেড়ে চলে যান।

দুদকের অনুসন্ধানে আবজাল ও রুবিনার বিরুদ্ধে স্বাস্থ্য অধিদফতরের দরপত্র জালিয়াতি করে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ ও অর্থপাচারের প্রমাণ মিলেছে। আবজাল ৩০ হাজার টাকা বেতন পেলেও উত্তরা ও বাড্ডায় রয়েছে তার পাঁচটি বাড়ি ও একটি ফ্ল্যাট। অস্ট্রেলিয়ায়ও আছে তার একটি বাড়ি। দেশের বিভিন্ন এলাকায় রয়েছে তার ২৪টি প্লট, ফ্ল্যাট, বাড়ি ও মার্কেট।
সীমাহীন দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় প্রাথমিক অনুসন্ধান শেষে গত ১০ জানুয়ারি আবজালকে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক।

আরও পড়ুন:

স্বাস্থ্য অধিদফতরের কোটিপতি হিসাবরক্ষক আবজালের সম্পত্তি জব্দের নির্দেশ

দুদকের কাছে সময় চেয়েছেন আবজালের দুই ভাই ও তিন শ্যালক