উপাচার্য দেখা না দিলে অবস্থান ছাড়বেন না আন্দোলনকারীরা

উপাচার্য ভবনের সামনে আন্দোলনকারীদের অবস্থানঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) পুনর্নির্বাচনসহ পাঁচ দফা দাবিতে উপাচার্য কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন নির্বাচনে অংশ নেওয়া পাঁচ প্যানেলের প্রতিনিধি ও শিক্ষার্থীরা। সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টায় তারা উপাচার্য কার্যালয়ের সামনে এসে অবস্থান নেন। এরপর পাঁচ প্যানেলের প্রতিনিধিরা উপচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামানের সঙ্গে দেখা করতে চাইলে গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়। এরপর তারা গেটের বাইরেই বসে পড়েন। বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের জিএস প্রার্থী উম্মে হাবিবা বেনজির জানান, উপাচার্য আমাদের সঙ্গে কথা না বললে আমরা অবস্থান ছাড়বো না।

এর আগে ভিসি কার্যালয়ে অবস্থান নিয়ে বেনজির বলেন, ‘আমাদের অবস্থান চলবে, আমাদের নেতৃবৃন্দ কথা বলবে। ডাকসু নির্বাচনে অনিয়মের দায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের। এই দায় তাদেরকে নিতে হবে। তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে সারাদেশের সামনে লজ্জাজনক পরিস্থিতিতে ফেলেছেন। ফলে তাদেরকে দায় নিয়ে তাদের পদ থেকে সরে যেতে হবে।’

স্বতন্ত্র জিএস প্রার্থী এ.আর.এম আসিফুর রহমান বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন কারচুপির প্রমাণ চাইছে, এর চেয়ে হাস্যকর আর কি হতে পারে। সারা বাংলাদেশের মানুষ, যারা সেদিন ভোট দিতে এসেছিল তারা সবাই জানে সেদিন কি হয়েছিল। সেখানে প্রমাণ দেওয়ার কিছু নাই। আমাদের আন্দোলন চলবে, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাবো।’

এদিকে কর্মসূচিতে উপস্থিত নেই প্রগতিশীল ছাত্রজোট থেকে ভিপি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী লিটন নন্দী এবং বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক ও ভিপি নুরুল হক নুর।

প্রসঙ্গত, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের ফলাফল বাতিল এবং পুনঃতফসিল ঘোষণাসহ পাঁচ দফা দাবিতে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দিয়েছিলেন প্রগতিশীল ছাত্র জোট, স্বাধিকার স্বতন্ত্র পরিষদ, স্বতন্ত্র জোট ও বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন ও বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদসহ পাঁচ প্যানেলের প্রতিনিধিরা। প্যানেলগুলোর দাবির মধ্যে রয়েছে- জালিয়াতির ডাকসু নির্বাচন বাতিল, পুনঃতফসিল ঘোষণা, ভিসির পদত্যাগ দাবি, মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, হামলাকারীদের শাস্তি প্রদান।