মীম-সজীব নিহতের মামলায় পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণ ৩ এপ্রিল





দিয়া খানম মীম ও আব্দুল করিম সজীবরাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের সামনে বাসচাপায় শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দুই শিক্ষার্থী মীম ও সজীবের নিহত হওয়ার ঘটনায় দায়ের মামলায় পুলিশ কর্মকর্তা রিয়াদ আহমেদের (উপপরিদর্শক) সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন আদালত।
সোমবার (১৮ মার্চ) এ সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে ঢাকার মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের দিন আগামী ৩ এপ্রিল ধার্য করেন।
এ নিয়ে ৩৬ জন সাক্ষীর জবানবন্দি গ্রহণ করলেন আদালত।
সংশ্লিষ্ট আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী তাপস কুমার পাল এসব তথ্য জানান।
মামলার আসামিরা হলেন জাবালে নূর পরিবহনের মালিক মো. শাহাদাত হোসেন আকন্দ, চালক মাসুম বিল্লাহ, হেলপার মো. এনায়েত হোসেন, চালক মো. জোবায়ের সুমন, অপর বাসমালিক মো. জাহাঙ্গীর আলম ও হেলপার মো. আসাদ কাজী। এদের মধ্যে মো. জাহাঙ্গীর আলম ও মো. আসাদ কাজী পলাতক। তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা রয়েছে।
এর আগে গত ২৫ অক্টোবর এ আসামিদের বিরুদ্ধে আদালত চার্জ গঠন করেন আদালত।
গত ৬ সেপ্টেম্বর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক কাজী শরীফুল ইসলাম এ মামলায় ছয়জনের বিরুদ্ধে ঢাকা মুখ্য মহানগর আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। এতে আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ২৭৯, ৩২৩, ৩২৫, ৩০৪ ও ৩৪ ধারায় অভিযোগ আনা হয়। চার্জশিটে ৪১ জনকে সাক্ষী এবং ছয় ধরনের আলামত জব্দ দেখানো হয়। আলামতগুলোর মধ্যে রয়েছে তিনটি বাস এবং তিনটি ড্রাইভিং লাইসেন্স।
গত ২৯ জুলাই দুপুরে কালশী ফ্লাইওভার থেকে নামার মুখে এমইএস বাসস্ট্যান্ডে ১৫-২০ জন শিক্ষার্থী দাঁড়িয়ে ছিলেন। জাবালে নূর পরিবহনের একটি বাস ফ্লাইওভার থেকে নামার সময় মুখেই দাঁড়িয়ে যায়। এ সময় পেছন থেকে জাবালে নূরের আরেকটি বাস দ্রুত গতিতে ওভারটেক করে সামনে আসতেই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। এতে ঘটনাস্থলেই পিষ্ট হয়ে মারা যান দুই শিক্ষার্থী। তারা হলেন দিয়া খানম মীম এবং আব্দুল করিম সজীব। এ ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হন। এ ঘটনায় ক্যান্টনমেন্ট থানায় নিহতে মীমের বাবা জাহাঙ্গীর আলম মামলা দায়ের করেন।