আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা পুলিশের (উপ-পরিদর্শক) আশরাফুল আলম বাংলা ট্রিবিউনকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
এর আগে, প্রাণীর প্রতি নিষ্ঠুরতা আইনে মেহজাবিনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন প্রাণীদের কল্যাণে কাজ করা সংগঠন কেয়ার ফর পস-এর সাধারণ সম্পাদক জাহিদ হোসেন। ২১ মার্চ মুগদা থানায় মামলাটি দায়ের করা হয়।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ১৭ মার্চ রাত ১০টার দিকে জীবন্ত বিড়ালের বাচ্চাকে হত্যার ভিডিও ধারণ করেন মেহজাবিন। এরপর বাচ্চাটির মৃতদেহ পলিথিনে মুড়ে ময়লার ঝুড়িতে ফেলে দেন। পরদিন ১৮ মার্চ ময়লাওয়ালা তা নিয়ে যায়।
বিড়ালটিকে হত্যার ভিডিও ১৭ মার্চ ধারণ করা হলেও মেহজাবিন তা নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে আপলোড করেন ১৯ মার্চ রাত ৯টার দিকে। নিষ্ঠুর এই হত্যাকাণ্ডের ভিডিওটি রাতের মধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। প্রাণীর প্রতি এমন নিষ্ঠুরতার নিন্দা জানান বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। ভিডিওটি চোখে পড়ে কেয়ার ফর পস-এর সাধারণ সম্পাদক জাহিদ হোসেনের। প্রতিষ্ঠানের সহকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে পরিচয় ও ঠিকানা খুঁজে বের করে ২১ মার্চ দুপুরে মেহজাবিনের বাসায় যান তারা।
এ সময় মেহজাবিন বিড়ালের বাচ্চাটিকে হত্যা, ভিডিও ধারণ ও প্রকাশ করার কথা স্বীকার করেন বলে জানান জাহিদ হোসেন।
আরও পড়ুন: বিড়াল হত্যার দায়ে তরুণীর বিরুদ্ধে মামলা