সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে ট্রাফিক পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীরা

সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে ট্রাফিক পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীরা

সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে ট্রাফিক পুলিশের সঙ্গে কাজ করেছেন শিক্ষার্থীরা। নিয়ম মেনে গণপরিবহনের চলাচল দেখভালের পাশাপাশি ফুটওভার ব্রিজ ও জেব্রাক্রসিং ব্যবহারে পথচারীদের পরামর্শ দিয়েছেন তারা।

রবিবার (২৪ মার্চ) সকাল সাড়ে ৮টা থেকে রাজধানীর কুড়িল, বসুন্ধরা গেট, নর্দ্দা ও নতুনবাজার সিগন্যাল ও মিরপুরের বিভিন্ন স্থানে ট্রাফিক পুলিশের সঙ্গে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস (বিইউপি) এর শিক্ষার্থীদের ট্রাফিক ও পথচারী নিয়ন্ত্রণ করতে দেখা যায়।

এ ব্যাপারে বিইউপি-এর সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী দেওয়ান রাশেদ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘রবিবার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে আমরা বিভিন্ন টিমে বিভক্ত হয়ে ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের সহযোগিতা করছি। সড়কে সবাই যাতে নিয়ম মেনে চলাচল করে, সেটাই আমরা চাই।’

এদিকে, রবিবার দুপুর ১টার দিকে রাজধানীর বসুন্ধরা গেটে নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের চেয়ারম্যান ইলিয়াস কাঞ্চন শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগ দেন।

শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগ দেন ইলিয়াস কাঞ্চন

শিক্ষার্থীরা জানান, তাদের সঙ্গে যোগ দিয়ে ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, আমাদের মূল সমস্যা রাস্তাঘাটের ডিজাইনে, তবে সেটার সমাধান বিশেষজ্ঞদের কাছে পাওয়া যাবে। সড়কে আমাদের ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা কাজ করছে, তবে কোনও ট্রাফিক ইঞ্জিনিয়ার নেই। এটাও এক সমস্যা।

এ বিষয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক (উত্তর) বিভাগের সহকারী কমিশনার মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে আমাদের ট্রাফিক বিভাগের সদস্যরা অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছে। সেই সঙ্গে শিক্ষার্থীরাও স্বপ্রণোদিত হয়ে আমাদের সঙ্গে কাজ করতে এসেছে। আমরাও তাদের ওয়েলকাম জানিয়েছি। তারা আন্দোলন বর্জন করে ভালো উদ্যোগ নিয়ে আমাদের সঙ্গে একযোগে কাজ করে যাচ্ছে।’

মামলা দিচ্ছে পুলিশ, পাশে শিক্ষার্থীরা

তিনি বলেন, ‘সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে ট্রাফিক পুলিশকে সহযোগিতায় শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ প্রশংসনীয়। তাদের জন্য আমাদের দরজা সব সময় খোলা থাকবে। সড়কে যেসব সীমাবদ্ধতা রয়েছে, সেগুলো সম্পর্কে শিক্ষার্থীরাও ধীরে ধীরে বুঝতে শুরু করেছে। একদিনে তো আর সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা সম্ভব নয়। তবে আমরা সবাই যদি ট্রাফিক আইন ও নিয়ম-কানুন মেনে চলি, তবে সড়কে শৃঙ্খলা ফিরে আসবেই।’

এর আগে গত ১৯ মার্চ সকাল সাড়ে ৭টার দিকে রাজধানীর নর্দ্দা এলাকায় যমুনা ফিউচার পার্কের সামনে জেব্রাক্রসিংয়ে সুপ্রভাত পরিবহনের একটি বাসের চাপায় শিক্ষার্থী আবরার আহমেদ চৌধুরী (২৪) নিহত হন। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। আবরার বিইউপি-এর শিক্ষার্থী ছিলেন।