১৯ মরদেহ উদ্ধার, ঢামেক মর্গে ৯

আগুনে পুড়ছে এফ আর টাওয়ার রাজধানীর বনানীর এফ আর টাওয়ারে আগুনের ঘটনায় এ পর্যন্ত ১৯ মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিসের অস্থায়ী তথ্যকেন্দ্র। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) রাতে এ তথ্য জানানো হয়। এরমধ্যে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে ৯ জনের মরদেহ রাখা হয়েছে। তবে, রাত সাড়ে ১১টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের অস্থায়ী কন্ট্রোল রুম থেকে ২৫ মরদেহ উদ্ধারের কথা জানানো হলেও পরে তারা সংশোধনী দিয়ে ১৯টি মরদেহ উদ্ধারের তথ্য পুনরায় নিশ্চিত করে।

ব্যাখ্যা দিয়ে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স সদর দফতরের সিনিয়র স্টেশন অফিসার খুরশিদ জানান, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল থেকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে কিছু মরদেহ স্থানান্তর করা হয়েছে। উভয় হাসপাতালে মরদেহগুলো দুই বার গণনা হওয়ায় এই ভুল হয়।  

এদিকে আগুনের ঘটনায় দগ্ধ ও আহত হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ৬৯ জন। এছাড়া স্বজনদের দাবির ভিত্তিতে নিখোঁজ রয়েছেন ৮ জন। 


ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের উদ্ধার তৎপরতা স্বাস্থ্য অধিদফতরের কন্ট্রোল রুমের দায়িত্বরত এক কর্মকর্তা বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘বিকাল ৫টা ৫০ মিনিট পর্যন্ত কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে ৩৯ জনকে। এছাড়া ইউনাইটেড হাসপাতালে ২০ জন, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে দুইজন এবং অ্যাপালো হাসপাতালে আটজন ভর্তি রয়েছেন।’

৯ জনের মরদেহ ঢামেক মর্গে
আগুনের ঘটনায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গে ৯ জনের মরদেহ রাখা হয়েছে। মর্গের দায়িত্বে থাকা সেকান্দার আলী বাংলা ট্রিবিউনকে জানান,আঞ্জুমান মফিদুল ইসলামের অ্যাম্বুলেন্স সাতটি মরদেহ রাত ১০টার সময় মর্গে নিয়ে আসে।

এর আগে বিকালে আব্দুল্লাহ আল ফারুক ও সন্ধ্যায় রুমকি আক্তারের মরদেহ ঢামেক জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয় বলে ঢামেক পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. বাচ্চু মিয়া বাংলা ট্রিবিউনকে জানান।

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দুপুর ১২টা ৫৫ মিনিটে ২৩ তলাবিশিষ্ট বনানীর এফ আর টাওয়ারের ৯ তলায় আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিসের ২৫টি ইউনিট কাজ করে রাতে আগুন নেভায়। পাশাপাশি সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনী, নৌবাহিনী, পুলিশ, র‍্যাব, রেড ক্রিসেন্টসহ ফায়ার সার্ভিসের প্রশিক্ষিত অনেক স্বেচ্ছাসেবী কাজ করেছেন।

আরও পড়ুন: বনানীর এফ আর টাওয়ারে আগুন