যাদের পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে:
১. মো. মির্জা আতিকুর রহমান (৩৫), পিতা- আ. কাদের, ঠিকানা- থানা: টংগী, জেলা: গাজীপুর। শনাক্ত করা হয়েছে জাতীয় পরিচয়পত্র দেখে।
২. আমির হোসেন রাব্বী (২৯) পিতা- আইয়ুব আলী, ঠিকানা- গ্রাম: চরপাড়া, থানা: আতাইকুলা জেলা: পাবনা। শনাক্ত করেছেন বন্ধু গিয়াসউদ্দিন। তিনি বলেন, ‘আমরা ঢাকা মেডিক্যাল মর্গে রাব্বীর মরদেহ শনাক্ত করতে পেরেছি। তার পরিবারের লোকজনও আছে।’
৩. মো. ইখতিয়ার হোসেন (৩২) পিতা- ইছাহক আলী, ঠিকানা- গ্রাম: বানিয়া পাড়া,থানা: কুমারখালী, জেলা: কুষ্টিয়া। শনাক্ত করা হহয়েছে জাতীয় পরিচয়পত্র দেখে।
৪. শেখ জারিন তাসমিম বৃষ্টি (২৫), ইইউআর সার্ভিসে চাকুরী করতেন। তার পিতার নাম মোজায়েদুল ইসলাম, স্বামী কাজী নুর।ঠিকানা- ৭৪ বেজপাড়া, মেইন রোড যশোর। বর্তমানে খিলক্ষেত বটতলা। তার চাচাতো ভাই জিসান ইসলাম শনাক্ত করেন। তিনি বলেন, ‘বৃষ্টি আমার চাচাতো বোন। ও লিফটের ১১তে ইইউআর সার্ভিস প্রতিষ্ঠানে অভ্যর্থনাকারী হিসেব কর্মরত ছিল।’
৫. আনজির আবির (২৪), পিতা- আবু বক্কর ছিদ্দিক, ঠিকানা-গ্রাম: কলেজ রোড, থানা: পাটগ্রাম জেলা: লালমনির হাট। শনাক্ত করেছেন বোনের স্বামী দেলোয়ার হোসেন।
৬. মো. মনজুর হাসান (৫০) পিতা- মনসুর রহমান, ঠিকানা- এইচ-১, আর-২০, সেকশন- ১০, ব্লক- সি, মিরপুর ঢাকা। শনাক্ত করা হয়েছে জাতীয় পরিচয়পত্র দেখে।
৭. মো. ফজলে রাব্বী (৩৫) পিতা- জহুরুল হক, ঠিকানা- গ্রাম: ভুইঘর, থানা: সদর, জেলা: নারায়ণগঞ্জ। শনাক্ত করেছেন তার বাবা।
এর আগে বিকালে আব্দুল্লাহ আল ফারুক ও সন্ধ্যায় রুমকি আক্তারের মরদেহ ঢামেক জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয় বলে ঢামেক পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. বাচ্চু মিয়া বাংলা ট্রিবিউনকে জানান। তাদের পরিচয় আগেই জানা গেছে।
উল্লেখ্য, বনানীতে বৃহস্পতিবার(২৮ মার্চ) দুপুর ১২টা ৫৫ মিনিটে ২১ তলা এফ আর টাওয়ারের ৯ তলায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ফায়ার সার্ভিসের ২৫টি ইউনিট আগুন নেভানো ও হতাহতদের উদ্ধারের কাজ করে। পাশাপাশি সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনী, নৌবাহিনী, পুলিশ, র্যাব, রেড ক্রিসেন্টসহ ফায়ার সার্ভিসের প্রশিক্ষিত অনেক স্বেচ্ছাসেবী কাজ করেছে।
এ ঘটনায় মারা গেছেন ১৯ জন। শুক্রবার (২৯ মার্চ) সকাল ১০টা পর্যন্ত অভিযান চলবে বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাজ্জাদ হোসেন।