শুক্রবার (২৯ মার্চ) বিকাল সাড়ে তিনটায় আগুনের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত ভবন ও উদ্ধার অভিযান পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
আইজিপি বলেন, ইতোমধ্যে পুলিশ ভবনের মালিককে শনাক্ত করেছে। মালিকের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি। রাজউক কর্তৃপক্ষ, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী বলেছেন ইমারত কোড অমান্য করে ভবনের ১৮ তলার বিপরীতে ২২ তলা করা হয়েছে। সুতরাং এটি আইনের ব্যত্যয়। এখানে যারা মারা গেছেন তাদের প্রত্যেকের জীবনের মূল্য ও বাঁচার অধিকার রয়েছে। সেটার ব্যত্যয় ঘটেছে। এ বিষয়ে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
এক প্রশ্নের জবাবে আইজিপি বলেন, ‘পাঁচ-সাত পারেসেন্ট মানুষ আইন মানতে চায় না। আইনের প্রয়োগ তাদের জন্যই দরকার পড়ে। কিন্তু ফায়ার সেফটির বিষয়টিতো সবার জন্যই। এখন সময় এসেছে ফায়ার সেফটির বিষয়টি শতভাগ নিশ্চিত করা। আমরা সিটি করপোরেশন, রাজউক, ফায়ার সার্ভিস, গণপূর্ত, পরিবেশ অধিদফতরসহ এ সংশ্লিষ্ট প্রত্যেকটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করবো। সবাই যাতে ফায়ার সেফটির বিষয়টি শতভাগ নিশ্চিত করেন, সেজন্য পুলিশের পক্ষ থেকে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দুপুর ১২টা ৫৫ মিনিটে ২১-তলা বনানীর এফ আর টাওয়ারের ৯ তলায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ফায়ার সার্ভিসের ২৫টি ইউনিট আগুন নেভানো ও হতাহতদের উদ্ধারের কাজ করে। পাশাপাশি সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনী, নৌবাহিনী, পুলিশ, র্যাব, রেড ক্রিসেন্টসহ ফায়ার সার্ভিসের প্রশিক্ষিত অনেক স্বেচ্ছাসেবী কাজ করে। প্রায় সাড়ে ছয় ঘণ্টা চেষ্টার পর রাত ৭টায় আগুন নেভানো সম্ভব হয়। এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২৫টি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।