৯৯৯ নম্বরে প্রথম আগুনের সংবাদ জানান কিরন




এফ আর টাওয়ারের আগুনের খবর সবার আগে ৯৯৯ নম্বরে জানান কিরনবনানীর এফ আর টাওয়ারে আগুন লাগতে দেখে ৯৯৯ (জরুরি সেবা)-এ  প্রথম ফোন করে তথ্যটি জানান মাহমুদুল হক কিরন নামের এক ব্যক্তি। যখন আগুন লাগে তখন তিনি এফ আর টাওয়ারের ঠিক অপরপাশে থাকা এসএমসি ভবনের পঞ্চম তলায় নিজ অফিসে ছিলেন। কিরন লিংকথ্রি টেকনলোজি গ্রুপের সিনিয়র টেকনিশিয়ান হিসেবে কর্মরত আছেন।

তিনি জানান, আগুনের তাপে ভবনের আট তলার গ্লাস যখন ভেঙে নিচে পড়ে তখন তার এক সহকর্মী এসে অগ্নিকাণ্ডের বিষয়টি জানান। পরে তিনি তাৎক্ষণিকভাবে দুপুর ১২টা ৪৫ মিনিটে জরুরি সেবা- ৯৯৯ নম্বরে কল দিয়ে আগুনের ঘটনাটি জানান।

মাহমুদুল হক কিরন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘এসএমসি ভবনের পঞ্চম তলায় আমার অফিস। অফিসের ভেতরে আমার ডেস্কটি একেবারে জানালার পাশেই ছিল। সেখান থেকে এফআর টাওয়ার স্পস্ট দেখা যায়। দুপুরে আমি আমার ডেস্কে বসেছিলাম। তখন আমার এক সহকর্মী জানায় এফ আর টাওয়ারে আগুন লেগেছে। আমি জানালা দিয়ে তাকিয়ে দেখি নিচের মানুষগুলো টাওয়ারের দিকে তাকিয়ে আছে এবং টাওয়ারের আট তলায় জানালার কাচ ভেঙে আগুন বের হচ্ছে। তাৎক্ষণিকভাবে আমার কিছু করার ছিল না। তাই আমি দ্রুত ডেক্স থেকে মোবাইল ফোনটি হাতে নিয়ে ৯৯৯-এ কল দেই। তখন দুপুর ১২টা ৪৫ মিনিট ছিল। একজন মহিল কলটি ধরেছিলেন। তাকে আগুনের খবরটি দেওয়ার পর তিনি আরেকজনকে লাইন ট্রান্সফার করেন। তখন আগুনের খবরটি দিলে তার বললেন, ঠিকানা বলতে, আমি ঠিকানা বলে ফোনটি রেখে দেই। খবর দেওয়ার ৩০ মিনিট পর ফায়ার সার্ভিসের কয়েকটি গাড়ি আসে। তারা ঘটনাস্থলে এসে তাদের যন্ত্রপাতি সেট করতে ১০ মিনিট সময় লাগায় পানি দিতে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আগুন নেভাতে সন্ধ্যা হয়ে যায়। তখনও আমি ঘটনাস্থলে আমার অফিসের নিচে দাঁড়িয়ে ছিলাম। আগুনের সূত্রপাত হয় এফ আর টাওয়ারের পেছনের পাশ থেকে। পরে তা ছড়িয়ে পড়লে সামনের অংশও পুড়ে যায়।’

৯৯৯-এ ফোন করে আগুনের খবর দেওয়ার বিষয়টি কিভাবে মাথায় এসেছে? জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন সময় শুনি, ৯৯৯-এ কল দিলে নাকি জরুরি সেবা মিলে। তাই আমি তাৎক্ষণিক জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ কল দিয়ে আগুনের খবরটি দেই।’