রাত ১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এসে হামলায় বিচারের আশ্বাস দিলেও অনড় ছিলেন তারা। তাদের দাবি ছিল ভিসি যেহেতু সর্বোচ্চ অভিভাবক, তিনি যদি আশ্বাস দেন তাহলে অবস্থান কর্মসূচি থেকে সরে যাবেন। পরে সকাল ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলতে নিজ কার্যালয়ে নিয়ে যান। সেখানে দীর্ঘ সোয়া ১ ঘণ্টা আলোচনা শেষে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা তাদের কর্মসূচি স্থগিত করেন।
পরে ভিসি কার্যালয় সংলগ্ন লাউঞ্জে শিক্ষার্থীদের জন্য নাশতার ব্যবস্থা করা হয়। তবে শিক্ষার্থীরা নাশতা খেতে প্রথমে অস্বীকৃতি জানান। পরে ভিসির অনুরোধে ভিপি নুরসহ উপস্থিত সবাই নাশতা সারেন। নাশতার ম্যানুতে ছিল ডিম, পরোটা, ভাজি ও কলা।
এর আগে মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) বিকালে ঢাবির উর্দু বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী ফরিদ হাসানকে মারধরের ঘটনার অভিযোগপত্র দিতে স্যার সলিমুল্লাহ মুসলিম (এসএম) হলে যান ডাকসুর ভিপি নুরুল হক নুর, সমাজসেবা সম্পাদক আকতার হোসেন, শামসুন্নাহার হলের ভিপি শেখ তাসনীম আফরোজ ইমি, ছাত্র ফেডারেশনের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি উম্মে হাবিবা বেনজির, অরণি সেমন্তি খানসহ কয়েকজন। সে সময় নুরসহ ছাত্রনেতারা হলটির ভেতরে গেলে সেখানে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা তাদের বাধা দেয় ও অবরুদ্ধ করে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় হলের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় ছাত্রলীগের অন্য নেতাদের আপত্তিকর মন্তব্যের শিকার ও তাদের হাতে লাঞ্ছিত হওয়ার অভিযোগ করেছেন সেমন্তি, ইমি ও বেনজির। নুরসহ তাদের গায়ে ডিমও ছুড়ে মারা হয়েছে বলে দাবি করেছেন তারা।
আরও পড়ুন:
একজন ‘ধর’ ‘ধর’ বলে, আরেকজন পেটে লাথি মারে: বেনজির