আইনজীবীর গাড়ি ডাকাতি মামলায় ছয়জনের যাবজ্জীবন

আদালতসুপ্রিম কোর্ট বারের আইনজীবী গোলাম কিবরিয়ার গাড়ি ডাকাতির মামলায় ছয়জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। বুধবার (১০ এপ্রিল) ঢাকার ৬ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক ড. শেখ গোলাম মাহবুব এ রায় ঘোষণা করেন। কারাদণ্ডের পাশাপাশি প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাভোগের আদেশ দেন।

যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন,  মো. নজরুল ইসলাম ওরফে তুহিন, মো. মান্নান,  খোকন চন্দ্র বিশ্বাস,  মো. কামাল মুন্সি,  নুর আলম ও  মো. শফিকুল ইসলাম ওরফে সজল।

রায় ঘোষণার পর আসামিদেরকে সাজা পরোয়ানা ইস্যু করে কারাগারে পাঠানো হয়।

মামলাটির অভিযোগে বলা হয়, ২০১৪ সালের ১৩ মার্চ ভোরে সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাচন হয়। রাতে ভোট গণনা শেষে ১৪ মার্চ ভোর সোয়া ৪টার দিকে আইনজীবী গোলাম কিবরিয়া তার জুনিয়র তিন আইনজীবী রাফিয়া আক্তার পল্লবী, কামরুন্নাহার সীমা ও আজমিনা বেগম মনিকে বাসায় পৌঁছে দেওয়ার জন্য তার ব্যক্তিগত প্রাইভেটকার নিয়ে  গুলশানের নিকেতনের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন। গাড়িটি ভোর সাড়ে ৪টার দিকে হাতিরঝিল মুক্তিযোদ্ধা ওসমান গনি কাঞ্চনের বাসার পূর্ব পাশে ২ নম্বর লেনের পাকা রাস্তার ওপর পৌঁছালে পেছন থেকে আসা একটি কালো গাড়ি তাদের গাড়ির সামনে বেরিকেড দিয়ে দাঁড়ায়। তখন ওই গাড়ি থেকে তিনজন অস্ত্রধারী তাদের গাড়ি থেকে নামতে বলে। গাড়ি থেকে না নামায় এক ডাকাত আইনজীবী গোলাম কিবরিয়াকে উদ্দেশ্য করে গুলি করে। এরপর অস্ত্রধারীরা গোলাম কিবরিয়াসহ অন্যদের গাড়ি থেকে টেনে-হিঁচড়ে নামিয়ে সঙ্গে থাকা স্বর্ণের চেইন, ব্রেসলেট, মোবাইল, হ্যান্ডব্যাগ ও নগদ টাকা এবং গোলাম কিবরিয়ার প্রাইভেটকার নিয়ে বাড্ডার দিকে দ্রুতগতিতে চলে যায়। ওই ঘটনায় আইনজীবী গোলাম কিবরিয়া রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পনগর থানায় একটি  মামলা করেন।

ওই ঘটনায় একই বছরের ৮ জুলাই ডিএমপির গাড়ি চুরি প্রতিরোধ ও উদ্ধার টিমের পরিদর্শক মাহবুব উর রশিদ ছয় আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এরপর ২০১৪ সালের ২৭ অক্টোবর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। আদালতে মামলাটি বিচার চলাকালে বিভিন্ন সময়ে ১৫ জন সাক্ষীর জবানবন্দি গ্রহন করেন।