স্কয়ারের ভুল চিকিৎসায় ঢাবি শিক্ষার্থীর পঙ্গু হওয়ার অভিযোগ

ঢাবি সাংবাদিক সমিতিতে মেহেদী হাসান শামীমের সংবাদ সম্মেলন

রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালের ভুল চিকিৎসার কারণে পঙ্গু হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উইমেন অ্যান্ড জেন্ডার স্টাডিজ বিভাগের ২০১২-১৩ সেশনের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান শামীম। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে তিনি এই অভিযোগ করেছেন।

সদ্য মাস্টার্স পাস করা এই শিক্ষার্থীর অভিযোগ, স্কয়ার হাসপাতালের ডাক্তার কৃষ্ণ প্রভুর কারণেই পঙ্গু হয়েছেন তিনি। অপারেশনের ভুলের কারণে তার শরীরের বাম দিক, বিশেষ করে বাম হাত ও পা কাজ করে না, অবশ হয়ে গেছে। এখন সুস্থতার জন্য উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন। তিনি ক্ষতিপূরণ হিসেবে এই চিকিৎসার খরচের টাকাও দাবি করেছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে।

মেহেদী হাসান শামীম (ফাইল ছবি)

সংবাদ সম্মেলনে শামীম জানান, মাথার ব্যথা নিয়ে ডাক্তারের কাছে গেলে তাকে অপারেশন করাতে বলা হয়, নাহলে যেকোনও সময় স্ট্রোকের সম্ভবনার কথা বলেন ডা. কৃষ্ণ প্রভু। নিজেকে ভারতের ভেলোর হাসপাতালের সিনিয়র কনসালট্যান্ট দাবি করে ওই চিকিৎসক জানিয়েছিলেন, অপারেশনটি খুব মাইনর। অপারেশনের দুদিন পরই সুস্থ হয়ে যাবেন শামীম। এরপর জানুয়ারির ২৩ তারিখে স্কয়ার হাসপাতালে তার মাথার ডানপাশে অপারেশন করা হয়। অপারেশন শেষে আইসিইউতে রাখা হয়। তৃতীয় দিন ওয়াশরুমে যেতে চাইলে চিকিৎসক জানান, তার শরীরের বাম দিকটা কাজ করছে না। অপারেশনের সময় ভুলভাবে তার মস্তিষ্কের কয়েকটি নার্ভ কাটা গেছে। পরবর্তীতে উন্নত চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ড অথবা সিঙ্গাপুর যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয় শামীমকে। উন্নত চিকিৎসার জন্য লিখিতভাবে ডাক্তারের কাছে অপারেশনের সিডি চান শামীমের পরিবার। কিন্তু তা দেওয়া হয়নি। স্কয়ার হাসপাতালে মাথার অপারেশন করতে ওই চার লাখ টাকার বেশি খরচ হয়েছে বলেও জানিয়েছেন শামীম।  

এ ব্যাপারে কথা বলতে ডা. কৃষ্ণ প্রভুকে ফোন দিলে তিনি প্রথমে বাংলায় কথা বলেন। পরে সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে বাংলা বোঝেন না দাবি করে ইংরেজিতে প্রশ্ন করতে বলেন। ইংরেজিতে প্রশ্ন করলে তিনি এই প্রতিবেদককে তার সঙ্গে দেখা করতে বলেন। তবে দেখা করার জন্য সময় চেয়ে এসএমএস করলেও তার কোনও ফিরতি উত্তর দেননি তিনি।