খালেদা জিয়ার দুই মামলার পরবর্তী শুনানি ১৩ জুন

খালেদা জিয়া

মিথ্যা তথ্যের ভিত্তিতে ভুয়া জন্মদিন পালন ও যুদ্ধাপরাধীদের মদদ দেওয়ার অভিযোগে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি পিছিয়ে আগামী ১৩ জুন দিন ধার্য করেছেন আদালত।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) পুরান ঢাকার বকশীবাজারে আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত অস্থায়ী আদালতের বিচারক ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর হাকিম আসাদুজ্জামান নূর আসামি পক্ষের সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে এ আদেশ দেন।

এ বিষয়ে খালেদা জিয়ার পক্ষে আইনজীবী হান্নান ভূইয়া বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন,  ‘খালেদা জিয়া অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে থাকায় অভিযোগ গঠনের শুনানি পেছানোর জন্য আদালতের কাছে আবেদন করা হয়। বিচারক ওই আবেদন মঞ্জুর করে পরবর্তী  শুনানির জন্য ১৩ জুন দিন ধার্য করেন।’

এর আগে গত ৩১ জুলাই এই দুই মামলায় ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালত থেকে জামিন পান সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া।

প্রসঙ্গত, যুদ্ধাপরাধীদের মদদ দেওয়ার অবিযোগে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ২০১৬ সালের ৩ নভেম্বর ঢাকার মহানগর হাকিমের আদালতে বাংলাদেশ জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এ বি সিদ্দিকী বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। এ মামলায় ২০১৭ সালের ১২ নভেম্বর খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।

অন্যদিকে, মিথ্যা তথ্য দিয়ে ভুয়া জন্মদিন পালনের অভিযোগে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গাজী জহিরুল ইসলাম ২০১৬ সালের ৩০ আগস্ট খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ঢাকা মহানগর হাকিমের আদালতে আরেকটি মামলাটি দায়ের করেন। এ মামলায় ২০১৬ সালের ১৭ নভেম্বর খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়।

উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায়ে খালেদা জিয়াকে মোট ১৭ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সেই রায় অনুযায়ী বর্তমানে তিনি সাজা ভোগ করছেন।