এতে বলা হয়, ‘মানবাধিকারের মৌলিক নীতিমালার পরিপন্থী এ ধরনের আচরণ জাতিসংঘ নির্যাতন এবং অন্যান্য নিষ্ঠুর, অমানবিক অথবা মর্যাদাহানিকর আচরণ বা শাস্তি সংক্রান্ত সনদের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।’ আইন ও সালিশ কেন্দ্র বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে ভারত সরকারের কাছে এ ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে ব্যাখ্যা চাওয়ার দাবি জানিয়েছে।
সম্প্রতি আজিম উদ্দিন নামের এক যুবককে নওগাঁর সাপাহার সীমান্ত এলাকা থেকে বিএসএফ আটক করে নিয়ে যায়। পরে তার ওপর নির্যাতন চালানো হয়েছে। তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন ও হাতের ১০টি নখ উপড়ে ফেলা হয়েছে। আজিম অজ্ঞান হয়ে পড়লে তাকে সীমান্তবর্তী পুর্নভবা নদীর জিরো পয়েন্টে ফেলে রাখে। বিজিবি’র সদস্যরা দেখতে পেয়ে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।
প্রসঙ্গত, বিভিন্ন গণমাধ্যম ও নিজস্ব তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, ২০১৮ সালে সীমান্তে বিএসএফএর গুলিতে ৮ জন নিহত হয়েছে এবং ৬ জন শারীরিক নির্যাতনের ফলে মৃত্যুবরণ করেছে। এ বছর এখন পর্যন্ত গুলিতে ১১ জন নিহত হয়েছে এবং একজন শারীরিক নির্যাতনের ফলে মৃত্যুবরণ করেছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশি যুবকের নখ উপড়ে নিলো বিএসএফ!