খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্যাটকো দুর্নীতি মামলার পরবর্তী শুনানি ১৪ মে

খালেদা জিয়া

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ অন্যান্য আসামির বিরুদ্ধে গ্যাটকো দুর্নীতি মামলার অভিযোগ গঠনের শুনানি আগামী ১৪ মে ধার্য করেছেন আদালত। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল)এ মামলার অভিযোগ গঠন শুনানির দিন ধার্য ছিল। কিন্তু আসামি পক্ষের আইনজীবীরা অভিযোগ গঠনের শুনানি পেছানোর জন্য আবেদন করেন।

শুনানিতে তারা বলেন,যেহেতু খালেদা জিয়া হাসপাতালে ভর্তি। তাকে আদালতে হাজির করা হয়নি। তাই অভিযোগ গঠনের শুনানি পেছানো হোক। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে বকশীবাজার আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত অস্থায়ী আদালতের বিশেষ জজ আবু সৈয়দ দিলজার হোসেন পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ১৪ মে দিন ধার্য করেন।

খালেদা জিয়ার আইনজীবী সৈয়দ জয়নাল আবেদীন মেজবাহ বাংলা ট্রিবিউনকে এ তথ্য জানান।

দুদকের আইনজীবী মোশারফ হোসেন কাজল এসময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে গত ৭ ফেব্রুয়ারি দুদকের আইনজীবী মোশারফ হোসেন কাজল আদালতে অভিযোগ গঠনের শুনানি করেন। শুনানি শেষে আসামিদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইনে ৫(২) ধারায়,দণ্ডবিধির ৪০৯ ও ১০৯ ধারায় অভিযোগ গঠন করার জন্য জোর দাবি জানান তিনি। তারও আগে গত ১০ জানুয়ারি খালেদা জিয়াকে কারাগার থেকে বিশেষ আদালতে হাজির করার জন্য প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট জারি করেন বিশেষ আদালত।

উল্লেখ্য, জরুরি বিধিমালা সংযুক্ত এ মামলার অভিযোগপত্রের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট আবেদন করে মামলা বাতিল চেয়ে আবেদন করেন খালেদা জিয়া। ওই আবেদনের কারণে প্রায় আট বছর নিম্ন আদালতে মামলাটির বিচারিক কার্যক্রম বন্ধ ছিল। পরে ওই রিট খারিজ করে উচ্চ আদালত ২০১৬ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে দুই মাসের মধ্যে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন। উচ্চ আদালতের নির্দেশে ওই বছরের ৫ এপ্রিল আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন পান খালেদা জিয়া।

উল্লেখ্য, ২০০৭ সালের ২ সেপ্টেম্বর দুদকের উপ-পরিচালক মো. গোলাম শাহরিয়ার বাদী হয়ে  ১৩ জনের বিরুদ্ধে তেজগাঁও থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলা তদন্ত শেষে ২০০৮ সালের ১৩ মে জোট সরকারের ৯ জন সাবেক মন্ত্রী ও উপমন্ত্রীসহ মোট ২৪ জনের বিরুদ্ধে দুদকের উপ-পরিচালক মো. জহিরুল হুদা অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

আসামিদের মধ্যে সাবেক মন্ত্রী এম সাইফুর রহমান, আব্দুল মান্নান ভুইয়া, এম শামছুল ইসলাম, এমকে আনোয়ার, সাবেক মন্ত্রী ও জামায়াতে ইসলামির আমির মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী এবং খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকো মারা গেছেন। এ মামলায় বর্তমানে আসামির সংখ্যা ১৮ জন।

অন্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন—   আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের (চবক) সাবেক চেয়ারম্যান কমোডর জুলফিকার আলী, সাবেক মন্ত্রী কর্নেল আকবর হোসেনের (প্রয়াত) স্ত্রী জাহানারা আকবর, দুই ছেলে ইসমাইল হোসেন সায়মন এবং একেএম মুসা কাজল, এহসান ইউসুফ, সাবেক নৌ- সচিব জুলফিকার হায়দার চৌধুরী, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের (চবক) সাবেক সদস্য একে রশিদ উদ্দিন আহমেদ এবং গ্লোবাল অ্যাগ্রো ট্রেড প্রাইভেট লি.(গ্যাটকো) এর পরিচালক শাহজাহান এম হাসিব, সাবেক মন্ত্রী ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী একেএম মোশাররফ হোসেন।