মিরপুর থানা পুলিশ জানিয়েছে, দুই বোনের সঙ্গে থাকতেন তমা। দুই বোন সকালে কাজে বের হন। ফিরে আসেন সন্ধ্যা ৬টা ৩৭ মিনিটে। ইফতারের সময় হওয়ায় বাসায় ঢুকে পানি পান করেন দুজন। এরপর তমাকে ডাকলে কোনও সাড়া না পেয়ে তার কক্ষে গিয়ে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান।
বাসার দরজার চাবি তিন বোনের কাছেই ছিল। দুই বোন ফিরে এসে দরজা লক করা অবস্থায় পান এবং তাদের কাছে থাকা চাবি দিয়ে ভিতরে প্রবেশ করেন। তমাকে উদ্ধার করে সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন। পরে খবর পেয়ে হাসপাতালে আসে মিরপুর থানা পুলিশ।
নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন মিরপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) অজিত রায়।
তিনি দুই বোনের বরাত দিয়ে বলেন, ‘তারা জানিয়েছেন, তমা বেশ কিছুদিন ধরে মানসিক অশান্তিতে ভুগছিলেন। তার চাকরি ছিল না। এছাড়া আরও কিছু সমস্যা ছিল। আমরা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট ছাড়া নিশ্চিতভাবে কিছু বলতে পারছি না।’