এ সংক্রান্ত এক রিটের ওপর জারি রুল খারিজ করে রবিবার (১২ মে) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের বেঞ্চ এ রায় দেন।
মামলার শুনানিতে দুদকের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার হাসান এম এস আজিম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন ( মানিক) ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল হেলেনা বেগম চায়না। অন্যদিকে আসামি পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী ।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ডা. আফজাল হোসেন ( রাজ) তার বাবা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা থাকাকালীন ও তার অব্যাহতির পরে বিভিন্ন ব্যাংকে হিসাব খোলেন। ২০০৬ সালের ৩১ অক্টোবর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা হওয়ার পর তিনি তার বাবাকে দিয়ে আইন, ভূমি ও বন মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন কর্মকর্তার বদলি বাণিজ্য করে ১০ কোটি ৬১ লাখ ১৩১ টাকা লেনদেন করেন (নভেম্বর ২০০৬ থেকে ডিসেম্বর ২০০৭ পর্যন্ত)। এর মধ্যে মিথ্যা তথ্য ও অসাধু উপায়ে ১ কোটি ৪০ লাখ ৪৯ হাজার ৮০৭ টাকার সম্পদ অর্জন করায় দুদক ফজলুলের ছেলে আফজালের বিরুদ্ধে ২০০৮ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর রমনা থানায় মামলা দায়ের করেন।
পরে ওই মামলার বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন ডা. আফজাল। সেই রিটের শুনানি নিয়ে ২০০৯ সালের ৯ আগস্ট মামলাটি কেন বাতিল করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। দীর্ঘদিন পর এ মামলার শুনানি শেষ হলো। ফলে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত -১ এ মামলাটি চলতে আর কোনও বাধা থাকলো না।