‘মুক্ত গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠায় কাজ করবে এডিটরস গিল্ড’

এডিটর্স গিল্ডের বৈঠকে সম্পাদকরাএডিটর্স গিল্ডের সদস্যরা গণমাধ্যমে  ‘সেলফ সেন্সরশিপে’ নিরুৎসাহিত হবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন এডিটরস গিল্ড, বাংলাদেশ-এর সভাপতি ও  বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রধান সম্পাদক তৌফিক ইমরোজ খালিদী। তিনি বলেন,  ‘এডিটরস গিল্ড বাংলাদেশে মুক্ত গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠায় কাজ করবে। এর সদস্যরা সম্পাদকীয় স্বাধীনতার জন্য লড়বেন।তারা সম্পাদকীয় প্রতিষ্ঠানের মর্যাদা পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করবেন।’  বুধবার (১৬ মে) ঢাকার লেইক শোর হোটেলে আয়োজিত ইফতার অনুষ্ঠানের তিনি এসব কথা বলেন।

তৌফিক ইমরোজ খালিদী বলেন, ‘আমরা জানি, আমাদের সাংবাদিকতায় নৈতিকতার মানদণ্ড নিয়ে প্রায়ই প্রশ্ন ওঠে। আমাদের সেই সব দিনের কথা মনে আছে, যখন সমাজের অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে গণমাধ্যম-বহির্ভূত প্রতিষ্ঠানের সরবরাহ করা গুরুতর অভিযোগ কোনও ধরনের যাচাই ছাড়াই শীর্ষস্থানীয় সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয়েছিল। সেই সব সংবাদপত্রের সম্পাদকরা সাংবাদিকতার নামে গুরুতর অনৈতিক কর্মকাণ্ডের কথা  প্রকাশ্যে স্বীকারও করেছেন।’

সাংবাদিকতায় নৈতিকতা নিয়ে বহু কথা হলেও অবস্থার তেমন পরিবর্তন হয়নি বলেও মনে করেন তৌফিক ইমরোজ খালিদী। তিনি বলেন,  ‘এই প্রেক্ষাপটে এডিটরস গিল্ড-এর পক্ষ থেকে সংবাদ মাধ্যম সংশ্লিষ্টদের জন্য নৈতিকতার মানদণ্ড নিয়ে নীতিমালা প্রণয়নের কাজ চলছে।’

‘ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট-২০১৮’-এর কিছু অংশকে সাংবাদিকতার জন্য হুমকি হিসেবে চিহ্নিত করে সেগুলো সংশোধনের দাবি পুনর্ব্যক্ত করেন এডিটরস গিল্ড-এর সভাপতি।

এ বছরই এডিটরস গিল্ড-এর প্রথম জাতীয় সম্মেলন ও সাধারণ সভা করার পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানান সভাপতি তৌফিক ইমরোজ খালিদী। সেখানেই সংগঠনের লক্ষ্য, উদ্দেশ্য ও কর্মকাণ্ড নিয়ে আরও বিস্তারিত তুলে ধরা হবে বলে জানান তিনি।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত বলেন প্রধানমন্ত্রীর  জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরী ও  বেসরকারি খাতবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী আবদুল মঈন খান, জাসদ সভাপতি ও সাবেক মন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, সিপিবি সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, ওয়ার্কার্স পার্টির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী মিয়া সেপ্পো, ভারতের হাই কমিশনার রীভা গাঙ্গুলী দাশ, ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট ডিকসন, সাবেক প্রধান তথ্য কমিশনার গোলাম রহমান, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি ও সংসদ সদস্য মুহাম্মদ শফিকুর রহমান, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি হাবিবুল্লাহ সিরাজী, সাবেক মুখ্য সচিব কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী প্রমুখ। 

উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ২২ ডিসেম্বর  আহ্বায়ক কমিটি গঠনের মধ্য দিয়ে এডিটরস গিল্ড যাত্রা শুরু করে। এরপর গত ৪ জানুয়ারি পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয। এই কমিটির সভাপতি নির্বাচিত করা হয়  বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রধান সম্পাদক তৌফিক ইমরোজ খালিদী। এই সংগঠনে সদস্য হিসেবে রয়েছেন সিনিয়র সাংবাদিক আবেদ খান, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার প্রধান সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, দৈনিক আমাদের নতুন সময়ের সম্পাদক নাঈমুল ইসলাম খান, জনকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক স্বদেশ রায়, একাত্তর টেলিভিশনের প্রধান সম্পাদক মোজাম্মেল বাবু, ডিবিসি টেলিভিশনের প্রধান সম্পাদক মঞ্জুরুল ইসলাম, গাজী টেলিভিশন ও সারাবাংলা ডটনেটের প্রধান সম্পাদক সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা, দেশ টেলিভিশনের সম্পাদক সুকান্ত গুপ্ত অলক, এশিয়ান এইজের এডিটোরিয়াল বোর্ডের চেয়ারম্যান শোয়েব চৌধুরী, এটিএন নিউজের প্রধান নির্বাহী সম্পাদক মুন্নী সাহা, এটিএন বাংলার প্রধান নির্বাহী সম্পাদক জ ই মামুন, বাংলা ট্রিবিউনের সম্পাদক জুলফিকার রাসেল, মাছরাঙা টেলিভিশনের সংবাদ প্রধান রেজওয়ানুল হক রাজা ও বাংলাদেশ পোস্টের প্রধান সম্পাদক শরীফ শাহবুদ্দিন। সূত্র: বিডিনিউজ