বাসের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু

অগ্রিম টিকিট বিক্রির প্রথম দিনে গাবতলীতে টিকিটপ্রত্যাশীদের ভিড়
ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ঘরমুখো মানুষের জন্য বাসের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। শুক্রবার (১৭ মে) সকাল ৮টা থেকে গাবতলী ও মহাখালী টার্মিনাল থেকে বাসের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হয়। আগামী ৩০ মে পর্যন্ত এই টিকিট বিক্রি চলবে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গাবতলী ও মহাখালী ছাড়াও মাজার রোড, কল্যাণপুর, শ্যামলী, কলেজগেট ও কলাবাগান এলাকার বিভিন্ন পরিবহনের কাউন্টার থেকেও সকালে টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। টিকিট নিতে বাস কাউন্টারগুলোতে ভোর থেকেই ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।

শ্যামলী পরিবহনের খাজা মার্কেট কাউন্টারে কর্তব্যরত নাসিম বলেন, সকাল থেকে আমরা অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু করেছি। পর্যায়ক্রমে ঈদের আগের দিনের অগ্রিম টিকিটও আমরা বিক্রি করবো।

এর আগে গত ৯ মে বাংলাদেশ বাস-ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনভুক্ত বাস কোম্পানিগুলোর মালিকদের এক বৈঠকে আগাম টিকিট বিক্রির সিদ্ধান্ত হয়।

বাংলাদেশ বাস ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান রমেশ চন্দ্র ঘোষ বলেন, ‘সংগঠনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী  শুক্রবার সকাল থেকে বাসের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। যাত্রীরা লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিট নিতে শুরু করেছেন।’

তিনি আরও জানান, আগামী ৩০ মে থেকে অগ্রিম টিকিটের বাসগুলো নির্ধারিত গন্তব্যে যাত্রা শুরু করবে। প্রতিটি গাড়ির দুটি টিকিট হাতে রেখে বাকি সব টিকিট বিক্রি করে দেওয়া হবে।

শ্যামলী, হানিফ, সোহাগ, গ্রিনলাইন, এস আর, নাবিল, ঈগল, এনা, দেশ ট্রাভেলস, আগমনী এক্সপ্রেসসহ প্রায় পঁচিশটি বড় পরিবহন কোম্পানির বাসেরও অগ্রিম টিকিট বিক্রি করা হবে বলে জানান রমেশ ঘোষ।

জানতে চাইলে এনা পরিবহনের জেনারেল ম্যানেজার সৈয়দ আতিকুল ইসলাম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ঈদ উপলক্ষে আমরা বাসের অগ্রিম টিকিট দিতে শুরু করেছি। তবে ঈদে উত্তরবঙ্গের বাসের ব্যাপক চাপ থাকে। সড়কে যানজটও থাকে, সেই বিষয়টি চিন্তা করেই বাসের অগ্রিম টিকিট দিচ্ছি। কারণ, টিকিট দেওয়ার পর যদি যানজটের কারণে বাস ছাড়া না যায় তাহলে সমস্যা হবে। সে কারণেই কিছু বাস হাতে ধরে রাখা হয়েছে।’

প্রসঙ্গত,  রাজশাহী, রংপুর, খুলনা ও বরিশাল- এ চারটি বিভাগের বিভিন্ন রুটে চলাচলকারী বাসের টিকিট বিক্রি হয় রাজধানীর গাবতলী ও আশপাশের এলাকা থেকে।

ছবি: সাজ্জাদ হোসেন