ই-পাসপোর্ট তৈরির প্রশ্নে নাগরিকদের তথ্য চুরির অভিযোগ অবান্তর: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী




আসাদুজ্জামান খাঁন কামালজার্মানি বাংলাদেশের ইলেকট্রনিক্স পাসপোর্ট (ই-পাসপোর্ট) তৈরি করায় নাগরিকদের তথ্য চুরির যে অভিযোগ উঠেছে তা অবান্তর বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।
শনিবার (১৮ মে) পাসপোর্ট ও ইমিগ্রেশন অধিদফতরের ইফতার মাহফিলের পর সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এ বছরের জুলাই থেকে নাগরিকদের ই-পাসপোর্ট দেওয়া হবে। আমাদের সব প্রস্তুতি শেষ। প্রথমবার জার্মানির একটি কোম্পানি ই-পাসপোর্ট সরবরাহ করবে। এরপর থেকে বাংলাদেশেই হবে।’
জার্মানির কোম্পানি ই-পাসপোর্ট তৈরি করলে নাগরিকদের তথ্য চুরি হবে কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, ‘এসব কথা অবান্তর। এমন কোনও সুযোগ নেই।’
বাংলাদেশে হাতে লেখা পাসপোর্ট থেকে এমআরপি প্রবর্তন করে প্রায় ১০ বছর আগে। কিন্তু এমআরপির ডেটাবেইজে ১০ আঙুলের ছাপ সংরক্ষণের ব্যবস্থা না থাকায় এক ব্যক্তির নামে একাধিক পাসপোর্ট করার ঘটনা দেখে সরকার ই-পাসপোর্ট চালুর উদ্যোগ নেয়।
এ প্রকল্প বাস্তবায়নে গত বছরের জুলাইয়ে জার্মান কোম্পানি ভেরিডোসের সঙ্গে চুক্তি করে পাসপোর্ট ও বহির্গমন অধিদফতর। সোয়া ৩ হাজার কোটি টাকায় বাংলাদেশকে ই-পাসপোর্ট ও অন্যান্য সরঞ্জাম সরবরাহ করবে তারা।
চুক্তি অনুযায়ী, বাংলাদেশকে ২০ লাখ পাসপোর্ট বুকলেট, ২ কোটি ৮০ লাখ পাসপোর্ট তৈরির সরঞ্জাম, আনুষঙ্গিক হার্ডওয়্যার, সফটওয়্যার এবং ১০ বছর রক্ষণাবেক্ষণ সেবা দেবে জার্মান কোম্পানিটি। গত বছর ২১ জুন প্রকল্পটি একনেকের সায় পায়।
সরকার মনে করছে, ই-পাসপোর্ট হলে রোহিঙ্গাসহ অন্যান্য শরণার্থী বাংলাদেশের পাসপোর্ট ব্যবহার করতে পারবে না।