জামিন আবেদন খারিজ, কারাগারেই থাকছেন ইউপি চেয়ারম্যান পান্নু মোল্লা

হাইকোর্টমাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার বালিদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান পান্নু মোল্লার জামিন আবেদন উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। এর ফলে তাকে কারাগারেই থাকতে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা। বৃহস্পতিবার (২৩ মে) বিচারপতি মো. রেজাউল হক ও বিচারপতি জাফর আহমেদের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে আসামি পান্নুর পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী এ এম আমিন উদ্দিন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. খুরশীদুল আলম।

এরআগে, মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার বালিদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পান্নু মোল্লাকে ৩০ এপ্রিলের মধ্যে বিচারিক (নিম্ন) আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে আপিল বিভাগের চার সদস্যের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

মামলার বিবরণী থেকে জানা গেছে, স্থানীয় একটি মাদ্রাসার সভাপতি নিয়োগ ও গাছ কাটা নিয়ে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পান্নু মোল্লার সঙ্গে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আব্দুর রউফের বিরোধ ছিল। ওই বিরোধের জেরে চলতি বছরের ২১ মার্চ সন্ধ্যায় স্থানীয় নতুন বাজার থেকে পান্নু মোল্লার নেতৃত্বে অধ্যক্ষ রউফকে তুলে নিয়ে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় পরে তাকে মাগুরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে গত ২৫ মার্চ সন্ধ্যায় তিনি মারা যান।

ওই ঘটনায় পান্নু মোল্লাসহ ১২ জনকে আসামি করে মহম্মদপুর থানায় মামলা করেন নিহতের ভাই মোহাম্মদ আব্দুল ওহাব (মিলন)। ওই মামলায় গত ১৬ এপ্রিল হাইকোর্ট থেকে আগাম জামিন নেন মামলার প্রধান আসামি পান্নু মোল্লা। পরে ওই জামিন স্থগিত চেয়ে আপিল আবেদন করেন রাষ্ট্রপক্ষ। শুনানি শেষে ১৪ এপ্রিল হাইকোর্টের জামিন স্থগিত করে আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে পাঠান চেম্বার জজ আদালত। যার ধারাবাহিকতায় আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চ চেয়ারম্যান পান্নু মোল্লাকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন। এরপর আত্মসমর্পন করে জামিন চাইলে আদালত পান্নু মোল্লাকে কারাগারে পাঠান। পরে নিম্ন আদালতের জামিন আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে জামিন চেয়ে পান্নু মোল্লা আবেদন জানান। তবে সে আবেদন খারিজ হওয়ায় তাকে কারাগারেই থাকতে হচ্ছে।