মওদুদের সম্পদের তথ্য গোপন মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ ২৭ মে



মওদুদ আহমদসম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মওদুদ আহমদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের মামলায় দুই ব্যাংক কর্মকর্তার সাক্ষ্যগ্রহণ করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (২৩ মে) ঢাকার ৬ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক ড. শেখ গোলাম মাহবুব সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন। পরে সাক্ষ্যগ্রহণের পরবর্তী দিন ২৭ মে ধার্য করেন আদালত।

সাক্ষ্য দেওয়া দুজন হলেন আইএফআইসি ব্যাংকের ফাস্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট রফিকুল বারী চৌধুরী এবং ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট মাহাবুব আলী খান।

এ নিয়ে মামলার ২১ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হলো।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০০৭ সালের ৩ জুলাই ব্যারিস্টার মওদুদকে তার নিজের, স্ত্রীর ও পোষ্যদের নামে-বেনামে অর্জিত যাবতীয় স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ এবং সেসবের উৎস জানাতে নোটিশ দেয় দুদক। সেই সময় অন্য মামলায় কারাগারে থাকা অবস্থায় মওদুদ একই বছরের ২৩ জুলাই সম্পদের হিসাববিবরণী দাখিল করেন। ওই হিসাববিবরণী পর্যালোচনা করতে দুদক অনুসন্ধান করে। দুদক জানতে পারে মওদুদ ৭ কোটি ৩৮ লাখ ৬৪ হাজার ২৮৭ টাকা মূল্যের সম্পদ অর্জন করাসহ ৪ কোটি ৪০ লাখ ৩৭ হাজার ৩৭৫ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন।
পরে এ ঘটনায় ২০০৭ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর দুদকের উপ-সহকারী পরিচালক শরিফুল হক সিদ্দিকী বাদী হয়ে রাজধানীর গুলশান থানায় মামলা দায়ের করেন।
২০০৮ সালের ১৪ মে মওদুদের বিরুদ্ধে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে দুদক। এরপর ২০১৮ সালের ২১ জুন অভিযোগ গঠন করেন আদালত।