‘সব জায়গাতেই র‍্যাংকিংয়ের একটি গুরুত্ব আছে’

জাফর সোবহানবেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের র‌্যাঙ্কিং প্রসঙ্গে ইংরেজি দৈনিক ঢাকা ট্রিবিউনের সম্পাদক জাফর সোবহান বলেছেন, ‘আমাদের এই প্ল্যান দীর্ঘদিন ধরেই চলছিল। অবশেষে আমরা ২০১৭ সালে এটা প্রকাশ করতে পেরেছিলাম। আমরা মনে করি, বাংলাদেশে এরকম র‍্যাংকিং খুব কম। শুধু ইউনিভার্সিটি না, যেকোনও ক্ষেত্রেই এরকম র‍্যাংকিং তেমনটা দেখা যায় না। বিদেশে কিন্তু কলেজ র‍্যাংকিং খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি রিপোর্ট করে। শুধু কলেজ নয়, সব জায়গাতেই দেখা যায় এই র‍্যাংকিংয়ের একটি গুরুত্ব আছে। ইউনিভার্সিটির ক্ষেত্রে যারা স্টেক হোল্ডার, বিশেষ করে অভিভাবক এবং শিক্ষার্থীদের জন্য এই তথ্য খুব প্রয়োজনীয়।’

দেশের শীর্ষস্থানীয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল বাংলা ট্রিবিউনের আয়োজনে ‘বিশ্ববিদ্যালয় র‌্যাংকিং’  শীর্ষক বৈঠকিতে তিনি এসব কথা বলেন। সোমবার (২৭ মে) বিকালে শুরু হয়েছে বাংলা ট্রিবিউনের সাপ্তাহিক এই আয়োজন।

র‌্যাংকিংয়ের প্রক্রিয়া সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘মানুষের জানা দরকার কোন ইউনিভার্সিটির মান কতটুকু। বাংলাদেশে আমরা বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই প্রতিষ্ঠানের রেপুটেশনের ওপর মান নির্ধারণ করি। এক্ষেত্রে অন্য কোনও অবজেক্টিভ ক্রাইটেরিয়া নেই। আমরা এজন্য একটি র‍্যাংকিং তৈরি করতে চেয়েছিলাম। এরপর আমরা ওআরজি কোয়েস্টের সঙ্গে হাত মিলিয়ে এই কাজটি করেছিলাম। আমরা ২০১৭ সালে প্রথম পার্ট এবং এই বছর দ্বিতীয় পার্ট বের করেছি। আমরা চেয়েছিলাম বাৎসরিক করতে, কিন্তু তথ্যগুলো বের করা খুব কঠিন। আমরা আশা করি, আবার ২০২০ সালে বের করতে পারবো। এই দুই বছরের র‍্যাংকিংয়ে পার্থক্য হলো, বেশির ভাগ ইউনিভার্সিটির র‍্যাংকিং কিন্তু বেড়ে গেছে। অনেকেই উন্নতি করেছে। আবার দু-একটা ইউনিভার্সিটির র‍্যাংকিং একটু বদলে গেছে। কিছু কিছু ইউনিভার্সিটি শীর্ষ ২০-এ ২০১৭ সালে ছিল না, এবার সেখানে চলে এসেছে।’

সাংবাদিক মুন্নী সাহার সঞ্চালনায় আজকের বৈঠকিতে অংশ নিচ্ছেন– বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য ইউসুফ মাহবুবুল ইসলাম, ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশের (ইউল্যাব) অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান, ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক তানবীর আহমেদ চৌধুরী, গবেষণা প্রতিষ্ঠান ওআরজি কোয়েস্টের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মনজুরুল হক, ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেটিক্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (আইআইডি) প্রধান নির্বাহী সাঈদ আহমেদ এবং বাংলা ট্রিবিউন সম্পাদক জুলফিকার রাসেল।

রাজধানীর পান্থপথে বাংলা ট্রিবিউন স্টুডিও থেকে এ বৈঠকি সরাসরি সম্প্রচার করে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল এটিএন নিউজ। পাশাপাশি বাংলা ট্রিবিউনের ফেসবুক ও হোমপেজে লাইভ দেখা গেছে এ আয়োজন। ইউল্যাবের সহযোগিতায় বৈঠকিটি আয়োজিত হয়েছে।