বৃহস্পতিবার (৩০ মে) বাগেরহাট সদর থানায় মানি লন্ডারিং আইনে মামলাটি করা হয় বলে জানিয়েছেন দুদকের উপ-পরিচালক (জনসংযোগ) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য। মামলার বাদী দুদকের সহকারী পরিচালক শাওন মিয়া।
১৯৮৪ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত বাগেরহাট জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে এমএলএসএস পদে চাকরি করেন মান্নান। এরপর স্বেচ্ছায় অবসরে যান এবং নিউ বসুন্ধরা রিয়েল এস্টেট লিমিটেড নামে প্রতিষ্ঠান খোলেন। প্রতিষ্ঠানটি গ্রাহকদের মাসে প্রতি লাখে ২ হাজার টাকা করে মুনাফা দিতো। চার বছরে জমা টাকার দ্বিগুণ দেওয়াসহ নানা প্রলোভন দেখায় তারা। লাভের আশায় অনেকে জমি বিক্রি করে টাকা তাদের দিয়েছিল।
গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর মান্নান তালুকদার ও আনিসুরের দুর্নীতির অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। চলতি বছরের ৫ ফেব্রুয়ারি দুদকের খুলনা বিভাগীয় কার্যালয়ের একটি দল বাগেরহাট শহরের মিঠাপুকুর পাড় এলাকায় অবস্থিত নিউ বসুন্ধরা রিয়েল এস্টেট লিমিটেডের প্রধান কার্যালয়ে যায়। সেখান থেকে গ্রাহকদের আমানত সংগ্রহের ফরম, চুক্তিনামা, গ্রাহকদের তথ্য সংগ্রহ করে। দুদক প্রধান কার্যালয়ের নির্দেশে অনুসন্ধান শুরু করে দুদকের খুলনা বিভাগীয় কার্যালয়।
আরও পড়ুন:
'আমি ১৫-২০ কোটি টাকার সম্পদের মালিক, তাও দান করার ফলে কমে গেছে'