শনিবার (১ জুন) রাতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের মিন্টো রোডের গোয়েন্দা কার্যালয়ে নেওয়া হয়।
আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার শাহিদুর রহমান রিপন জানান, আটক এই চক্রটির একাধিক সদস্য এখনও পলাতক রয়েছেন। আটক ব্যক্তিদের সহযোগীদের ধরতে তাদের নিয়ে অভিযান চালানো হচ্ছে।
ডিবি সূত্র জানায়, ইউক্রেন থেকে একসঙ্গে সাত জন এসেছিল। এদের মধ্যে ভিটালি (পাসপোর্ট নম্বর এফই ৮০৪৪৪৮) অভিযানের বিষয়টি টের পেয়ে পালিয়ে যায়। তবে সে যেন দেশ ছেড়ে চলে যেতে না পারে সেজন্য দেশের সবকটি ইমিগ্রেশন পয়েন্টে তার বিষয়ে অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে।
পুলিশ ও ব্যাংক সূত্র জানায়, শুক্রবার রাজধানীর খিলগাঁও এলাকার ডাচ বাংলা ব্যাংকের একটি বুথ থেকে দুইজন বিদেশি নাগরিক তিন লাখ টাকা উত্তোলন করে নিয়ে যান। যাওয়ার সময় তারা কিছু টাকা বুথে ফেলে যান। বিষয়টি বুথের নিরাপত্তারক্ষী ব্যাংক কর্মকর্তাদের জানালে তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে সিসিটিভি ফুটেজ দেখেন। সেখানে দুই বিদেশি নাগরিকের টাকা উত্তোলনের দৃশ্য দেখা গেলেও ব্যাংকের সার্ভারে এই টাকা উত্তোলনের কোনও হিসাব জমা পড়েনি। বিষয়টি তাদের সন্দেহ হয়। আজ শনিবারও দুই বিদেশি নাগরিক আবারো একই বুথে টাকা উত্তোলন করতে যান। তাদের মুখে মাস্ক ও মাথায় ক্যাপ এবং বেশি সময় নেওয়ার কারণে নিরাপত্তারক্ষী আশপাশের লোকজন ডেকে জড়ো করেন। বিষয়টি টের পেয়ে দুই বিদেশি নাগরিক পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে একজনকে হাতেনাতে আটক করা হয়। পরে আটক ব্যক্তির দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে হোটেল ওলিও ড্রিম হ্যাভেনে অভিযান চালিয়ে আরও ছয় জনকে আটক করা হয়।
ডাচ বাংলা ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা জানান, তাদের বুথ থেকে জালিয়াত চক্রটি মোট চার লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। তারা এমন প্রযুক্তি ব্যবহার করেছে যাতে ব্যাংকের সার্ভারে কোনও তথ্য যায়নি।
হোটেল ওলিও ড্রিম হ্যাভেন কর্তৃপক্ষ জানায়, গত ৩০ মে সাতজন ইউক্রেনের নাগরিক তাদের হোটেলের অষ্টম তলার ৮০৫ ও ৮০৭ নম্বরের দুটি কক্ষ ভাড়া নেয়। তারা দিনের বেলা ঘন ঘন বাইরে বের হতো ও প্রবেশ করতো। শনিবার ডিবি পুলিশ তাদের আটক করে নিয়ে গেছে।
ডিবির একজন কর্মকর্তা জানান, এরা যে পদ্ধতিতে এটিএম বুথ থেকে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছিল তাতে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ সহজেই বুঝতে পারে না। এদের জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও কোনও বুথ থেকে টাকা তুলেছে কিনা তা জানার চেষ্টা করা হচ্ছে।