নবজাতক চুরির দায়ে দুইজনের যাবজ্জীবন

আদালত

ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে নবজাতক চুরির অভিযোগে মানব পাচার দমন আইনে দায়ের করা মামলায় দুইজনকে যাবজ্জীবন দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে আসামিদের ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (১১ জুন) ঢাকার তৃতীয় মানব পাচার দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক জয়শ্রী সমাদ্দার এ রায় দেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলো– ঝর্ণা বেগম (পলাতক) এবং মো. মানিক। রায় ঘোষণা শেষে সাজা পরোয়ানা ইস্যু করেন ট্রাইব্যুনাল।

এদিকে, দুই আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় বিচারক তাদের বেকসুর খালাস দেন। তারা হলেন– ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের দারোয়ান আব্দুল মতিন এবং আয়া শিলা।

আদালত সূত্র জানায়, ২০০৫ সালে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে নবজাতক চুরি হয়। এ ঘটনায় সবুজবাগ থানায় মামলা দায়ের করেন নবজাতকের বাবা মনিরুল ইসলাম। এরপর আসামি ঝর্ণা, মানিক, শিলা ও মতিনকে অব্যাহতির সুপারিশ করে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। পরে বিচারক তাদের অব্যহতিও দেন। কিন্তু পরবর্তীতে খিলগাঁও থানার রামপুরা ওয়াপদা রোডের একটি বাড়ি থেকে নবজাতকসহ এক নারীকে আটক করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে ওই নারী পুলিশকে জানান, শিশুটি তার নিজের নয়। তার দেওয়া তথ্যে আরও এক নবজাতকের সন্ধান পাওয়া যায়। এ ঘটনায় ২০০৬ সালে মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনে মামলা করা হয়।

এ মামলায় তদন্ত শেষে তদন্ত কর্মকর্তা উল্লেখ করেন, শিশু দুইটিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে ঝর্ণা ও মানিক চুরি করেন। তাদের সহায়তা করেন দারোয়ান মতিন ও আয়া শিলা। মামলার বিচার চলাকালে বিভিন্ন সময়ে ৯ জনের সাক্ষ্য নেন ট্রাইব্যুনাল।