বিএসএমএমইউ-তে আন্দোলনকারীদের নামে এবার মামলা

বিএসএমএমইউ

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসক নিয়োগ পরীক্ষা বন্ধের দাবিতে আন্দোলনরত চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার (১১ জুন) রাতে রাজধানীর শাহবাগ থানায় এই মামলা করা হয়।

বিএসএমএমইউ’র অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক আসাদুল ইসলাম বাদী হয়ে ১৭ জন নামধারী এবং অজ্ঞাতনামা ৪০-৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন।

বুধবার (১২ জুন) সকালে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘এ বিষয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। আমরা বিষয়টি তদন্ত করে দেখছি।’

মামলার এজাহারভুক্ত আসামিরা হলেন—নিউরোলজি বিভাগের ডা. বিজয় কুমার পাল, ডা. মো. আহসান হাবীব হেলাল, ডা. সুভাস কান্তি দে, কার্ডিওলজি বিভাগের ডা. মো. আরিফুল ইসলাম জোয়ারদার টিটু, ডা. বশির আহম্মেদ জয়, ইউরোলজি বিভাগের ডা. মো. ফারুক, এনআইসি ভিডি’র ডা. মো. তৌহিদুজ্জামান, ইএনটি বিভাগের ডা. মিরজন, অ্যানেসথেসিয়া বিভাগের ডা. মো. জাকির, ডা. এনায়েত উল্লাহ তুষার, ডা. দিপংকর, ডা. মেহেদী, ডা. সজিব, মেডিসিন বিভাগের ডা. মো. কাউছার, চর্ম ও যৌন বিভাগের ডা. প্রাণ, পেডো ডেন্টিক্স বিভাগের ডা. রাফিউল বারী এবং আর এস সার্জারি বিভাগের ডা. বিদ্যুত চন্দ্র দেবনাথ। এছাড়া এই মামলায় অজ্ঞাত আরও ৪০-৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।   

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, গত ১১ জুন সকাল ১১টা ২৩ মিনিটে বিএসএমএমইউ’র নিয়োগ প্রক্রিয়ায় লিখিত পরীক্ষার পর ৩০ জনের মৌখিক পরীক্ষা নিচ্ছিল কর্তৃপক্ষ। এ সময় বিশ্ববিদ্যালের প্রশাসনিক ভবনের গেটের সামনে বে-আইনিভাবে লোক সমাগম করা হয়। সেখানে থাকা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের (পুলিশ ও আনসার) সঙ্গে তারা ধস্তাধস্তি করে এবং সরকারি কাজে বাধা দেয়। এ সময় হামলাকারীরা পুলিশ ও আনসার সদস্যদের কিল-ঘুষি মেরে জোরপূর্বক প্রশাসনিক ভবনের দ্বিতীয় তলায় ভিসি’র অফিসে প্রবেশ করে। তারা অফিসের গ্লাস ও নেমপ্লেটসহ আসবাবপত্র ভাঙচুর করে। নিয়োগ পরীক্ষা বাতিল করার জন্য ভিসি স্যারকে গালি দেওয়াসহ ভয়ভীতি দেখায়। এ সময় কয়েকজন চিকিৎসক তাদের হামলার শিকার হন। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ও রোগীদের সেবার স্বার্থে মৌখিক পরীক্ষা স্থগিত করা হয়।

এর আগে, মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত শিক্ষক চিকিৎসকদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে নিয়োগের ভাইভা সাময়িক স্থগিত করা হয়। পরবর্তী করণীয় ঠিক করতে সিন্ডিকেট মিটিং ডাকা হয়।

আন্দোলনে থাকা চিকিৎসকদের দাবি, শুধু নিয়োগ সাময়িক স্থগিত নয়, অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির নিয়োগ বাতিল করতে হবে।