জাতীয় জাদুঘরে ফিরছে নজরুল কর্নার

নজরুল পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদসংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, ‘বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরে আগে নজরুল কর্নার ছিল, এমন কথা শোনা যায়। সম্ভবত স্থান সংকুলান বা অন্য কোনও কারণে বর্তমানে তা নেই। তবে কারণ যাই হোক না কেন, শিগগিরই জাতীয় জাদুঘরে নজরুল কর্নার পুনরায় স্থাপন ও পুনরুদ্ধার করা হবে।’ রাজধানীর বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে শুক্রবার (১৪ জুন) বিকালে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন। কবি নজরুল ইনস্টিটিউটের আয়োজনে আলোচনা ও নজরুল পুরস্কার ২০১৮ প্রদানের এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন তিনি।

সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রীর ভাষ্য, ‘প্রায় ৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে নতুন নকশা অনুযায়ী ঢাকাস্থ নজরুল ইনস্টিটিউটের নতুন ভবনের নির্মাণ কাজ শুরু হবে শিগগিরই। এসবের মাধ্যমে নতুন প্রজন্ম নজরুলের সাহিত্য ও সৃষ্টিকর্ম সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে পারবে। একইসঙ্গে নজরুল চর্চা আরও গতি লাভ করবে।’

কে এম খালিদ মনে করেন, এবারের ১২০তম নজরুলজয়ন্তী ছিল অন্যান্যবারের চেয়ে অত্যুজ্জ্বল। তিনি জানান, ময়মনসিংহ রোডে প্রায় ৬০ কিলোমিটার এলাকায় বিলবোর্ড, তোরণ, ব্যানার, ফেস্টুন প্রভৃতি দিয়ে প্রচারণা চালানো হয়েছিল।

অনুষ্ঠানে নজরুল সংগীত প্রচার, প্রসার ও স্বরলিপি প্রণয়নে বিশেষ অবদানের জন্য শিল্পী সেলিনা হোসেন ও শিল্পী যোসেফ কমল রড্রিক্সকে নজরুল পুরস্কার ২০১৮ প্রদান করা হয়। দু’জনকে অভিনন্দন জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘নজরুল পুরস্কার কোনও অনুদান কিংবা সহমর্মিতা নয়, এটি পুরস্কারপ্রাপ্ত শিল্পীদের প্রাপ্য সম্মান ও অর্জন।’

এ আয়োজনে সভাপতিত্ব করেন কবি নজরুল ইনস্টিটিউট ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারপারসন জাতীয় অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম। এতে আলোচক ছিলেন কবি নজরুল ইনস্টিটিউট ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য ও কবিপৌত্রী খিলখিল কাজী।

কবি নজরুল ইনস্টিটিউটের প্রাক্তন নির্বাহী পরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদার পক্ষে স্মারক বক্তৃতা পাঠ করেন তার ছেলে মুসা হুদা। স্বাগত বক্তব্য দেন কবি নজরুল ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক মো. আব্দুর রাজ্জাক ভূঞা। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্যে ছিল বিভিন্ন শিল্পীদের পরিবেশনায় একক ও দলীয় সংগীত, নৃত্য, আবৃত্তি।