উত্তরখানে ছিনতাইয়ে বাধা দেওয়ায় হত্যা করা হয় সাকিবকে, গ্রেফতার ৩

র‌্যাব

রাজধানীর উত্তরখানে সাকিব হোসেন (২০) হত্যার সঙ্গে জড়িত তিন যুবককে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১। গ্রেফতার যুবকদের কাছ থেকে হত্যায় ব্যবহৃত একটি রক্তমাখা সুইচ গিয়ার চাকু উদ্ধার করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৮ জুন) দুপুরে র‌্যাবের কাওরান বাজারের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাব-১ এর অধিনায়ক লে.কর্নেল সারওয়ার বিন কাশেম সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ‘ছিনতাই করার সময় সাকিবকে হত্যা করা হয়। এসময় তার বন্ধু শিপনকেও ছুরিকাঘাত করা হয়। হত্যার সঙ্গে জড়িত প্রধান আসামি মো. শাহীন ওরফে ব্ল্যাক শাহীনসহ (২৪) ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। হত্যায় ব্যবহৃত রক্তমাখা সুইচ গিয়ার চাকুও উদ্ধার করা হয়েছে।’

১৭ জুন রাত সাড়ে ৮ টার দিকে রাজধানীর উত্তরখান থানার বাটুলিয়া এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয় বলেও জানান তিনি।

গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলো মো. শাহীন মিয়া ওরফে ব্ল্যাক শাহীন (২৪), মো. মঞ্জুরুল ইসলাম ওরফে মিজু (২৪) এবং মো. ফরহাদ হোসেন (২৬)। পরে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে উত্তরখানের কাঠালতলা থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরিসহ ৩টি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।

গত ১৫ জুন বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে রাজধানীর উত্তরখান থানাধীন নদীর পাড় বাটুলিয়া এলাকায় সাকিব ও তার বন্ধু শিপন মিয়াকে ছুরিকাঘাত করা হয়। এতে সাকিবের মৃত্যু হয়। গুরুতর আহত হয় শিপন। এই ঘটনায় উত্তরখান থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।

নিহত সাকিব একটি পোশাকের শো-রুমে কাজ করতো। দুই ভাই-বোনের মধ্যে বড় ছিল সে।

র‌্যাব কর্মকর্তা জানান, আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ এবং স্থানীয় সূত্রে জানা যায় যে বর্ণিত এলাকায় এই ছিনতাইচক্রটি দীর্ঘদিন ধরে সক্রিয় রয়েছে। তারা ওই এলাকায় ঘুরতে আসা লোকদের অস্ত্রের ভয়ভীতি দেখিয়ে টাকা-পয়সা, মোবাইল, স্বর্ণালঙ্কার ইত্যাদি ছিনতাই করে আসছিল।

এছাড়াও এই চক্রটির বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসা, অপহরণ, চাঁদাবাজি, ইভটিজিং, নারীর শ্লীলতাহানিসহ বিভিন্ন অভিযোগ পাওয়া গেছে বলেও জানিয়েছেন ওই র‌্যাব কর্মকর্তা।