বুধবার (১৯ জুন) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কেএম হাফিজুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চে এ আবেদন করা হয়।
আবেদনের বিষয়টি বাংলা ট্রিবিউনকে নিশ্চিত করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক। তিনি বলেন, ‘আবেদনটির ওপর আজ বুধবার আংশিক শুনানি হয়েছে। তবে পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ২৫ জুন দিন নির্ধারণ করেছেন আদালত।’
আদালতে নুরুল হক ভুট্টোর পক্ষে আইনজীবী ছিলেন প্রবীর রঞ্জন হালদার।
এছাড়াও এ-সংশ্লিষ্ট মানি লন্ডারিং মামলায় সিআইডির তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় সে বিষয়ে বিশেষজ্ঞের মত জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। এজন্য বিশেষজ্ঞদের আদালতে হাজির করাতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিককে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
ভুট্টোর আবেদনে সম্পদ জব্দের বিষয়ে কক্সবাজার আদালতের আদেশ স্থগিত চাওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে কক্সবাজার আদালতের আদেশ কেন বাতিল করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারির আর্জি জানানো হয়েছে।
মামলার বিবরণী থেকে জানা যায়, কক্সবাজারের ইয়াবা ব্যবসায়ী ভুট্টোসহ তার পরিবার ইয়াবা ব্যবসার মাধ্যমে কোটি কোটি টাকার সম্পদ বানায়। মানি লন্ডারিং আইনে করা নারায়ণগঞ্জের একটি মামলা তদন্তের সময় ভুট্টোর বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের তথ্য পায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এরপর তদন্তে নেমে ভুট্টোর মাদক ব্যবসা ও বিপুল সম্পদের সন্ধান পাওয়া যায়। পরে ২০১৭ সালের ২৯ আগস্ট সিআইডি পুলিশের অরগানাইজড ক্রাইমের (ইকোনমিক ক্রাইম স্কোয়াড) সহকারী পুলিশ সুপার মো. ইকবাল হোসেন টেকনাফ থানায় ভুট্টো, তার বাবা, স্ত্রী ও ভাইসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এ মামলায় গত ৫ মার্চ পুলিশের আবেদনে কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালত ভুট্টোর পরিবারের সম্পদ জব্দ করার নির্দেশ দেন। এ নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ সম্পদ জব্দ করে।
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের ২৯ আগস্ট মামলার দিনই ভুট্টোকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে ২০১৮ সালের ২৮ মার্চ হাইকোর্ট থেকে জামিন নেয় সে।
এ মামলার অন্য আসামি ভুট্টোর ভাই নুর মোহাম্মদকে গত ২১ মার্চ গ্রেফতার করে পুলিশ। তবে পরদিন সে ‘ক্রসফায়ারে’ নিহত হয়।
আরও পড়ুন...