সমতলের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর উন্নয়নে বরাদ্দ ১৫০০ কোটি করার দাবি

উন্নয়ন বরাদ্দ বাড়ানোর দাবিতে সংবাদ সম্মেলনপ্রস্তাবিত বাজেটে (২০১৯-২০) সমতলে থাকা ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর উন্নয়ন বরাদ্দ ৫০ কোটি টাকা থাকলেও তা সংশোধন করে ১৫০০ কোটি করার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম। বৃহস্পতিবার (২০ জুন) জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে ‘প্রস্তাবিত বাজেটে আদিবাসীদের প্রত্যাশার প্রতিফলন ঘটেনি’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক সঞ্জীব দ্রং।

সংবাদ সম্মেলনটি যৌথভাবে আয়োজন করে বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম, অ্যাসোসিয়েশন ফর ল্যান্ড রিফর্ম অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (এএলআরডি) এবং কাপেং ফাউন্ডেশন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সঞ্জীব দ্রং বলেন, “প্রতি বছর বাজেটের আকার বাড়লেও প্রস্তাবিত ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে গত বছরের তুলনায় বরাদ্দ ১১৫ কোটি টাকা কমানো হয়েছে। সমতলের আদিবাসীদের জন্য বাজেটে সরাসরি কোনও বরাদ্দ নেই। তবে, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় থেকে ‘সমতল ভূমিতে বসবাসরত ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে বিশেষ এলাকার জন্য উন্নয়ন সহায়তা (পার্বত্য চট্টগ্রাম ব্যতীত)’ কর্মসূচির আওতায় ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৪০ কোটি টাকা থোক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। সেটি এবার ১০ কোটি টাকা বাড়িয়ে ৫০ কোটি করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ সমতলের ২০ লাখ আদিবাসীদের জন্য বরাদ্দ মাত্র ৫০ কোটি টাকা। আর মাথাপিছু বরাদ্দ মাত্র ২৫০ টাকা। গত বছর তা ছিল ২০০ টাকা।”

সংবাদ সম্মেলনে প্রস্তাবিত বাজেটে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী বিষয়ে কিছু সুপারিশ বিবেচনায় নিয়ে সংশোধনী নিয়ে আসার দাবি জানান তিনি। দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে সিএইচটি-এর আদিবাসীদের জন্য প্রস্তাবিত উন্নয়ন বরাদ্দ বাড়িয়ে কমপক্ষে ২,৫০০ কোটি টাকা করতে হবে। আগামী অর্থবছরে (২০১৯-২০) সমতলের আদিবাসীদের জন্য উন্নয়ন বরাদ্দ কমপক্ষে ১,৫০০ কোটি টাকা করতে হবে। সমতলের আদিবাসীদের বিষয়টি দেখার জন্য পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে একটি আলাদা অধিদফতর গঠন করতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে এএলআরডি’র নির্বাহী পরিচালক শামসুল হুদা, জাতীয় আদিবাসী পরিষদের সভাপতি ও কাপেং ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন রবীন্দ্রনাথ সরেন এবং কাপেং ফাউন্ডেশনের ম্যানেজার হিরন মিত্র চাকমা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।