দোকান মালিকদের অভিযোগ, সকাল ১০টার পর কিছু লোক হঠাৎ দোকানে হামলা চালায়। তারা ভাঙচুর করে দোকানের মালামাল তছনছ করে দেয়। কর্মচারীদের মারধর ও গালমন্দ করে। আতঙ্ক সৃষ্টি করে। হামলার খণ্ডচিত্র ও ভিডিও ফুটেজ অনেকের মোবাইল ও দোকানের সিসি ক্যামেরায় রয়েছে।
খানদানী রেস্টুরেন্টের মালিক মিনু মিয়ার ছেলে জাকির হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমি তো ফুটপাতের ব্যবসায়ী না। ফুটপাত দখল করলে মালিক সমিতি থেকে নোটিশ করতে পারে। প্রশাসন বা সিটি করপোরেশন অভিযান চালাতে পারে। তারা তো সন্ত্রাসীদের মতো হামলা করতে পারে না। দোকানদারদের মারধর করতে পারে না। এই ক্ষমতা তারা কোথায় পেলো?’
বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে সাউথ বনশ্রী ইয়ুথ সোসাইটির সভাপতি জাকির হোসেন মোল্লা বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আসলে বিষয়টি তেমন কিছু না। আমরা প্রতি মাসে একটি পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালাই। তারই অংশ হিসেবে আজ অভিযান চালানো হয়েছে। ওই মালিকরা ফুটপাত দখল করে দোকান করেছেন। দোকান তুলে নিতে তাদের অনেকবার বলেছি, কিন্তু শোনেননি। সেখানে গলমন্দ বা হামলার ঘটনা ঘটেনি। আমরা কেনই বা হামলা করবো?’
এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে দক্ষিণ বনশ্রী প্লট মালিক সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ হানিফ বলেন, ‘আমি ঘটনাস্থলে এসেছি, বিষয়টি দেখছি। আসলে কয়েক মাস ধরে দোকান মালিকদের বলে আসছি, তোমরা বাইরে মালামাল রেখো না। দোকানের বাইরে রাখা চেয়ারগুলো ভাঙা হয়েছে। তবে কারও ওপর হামলা করা হলে তার বিচার হবে।’