তামাকপণ্যের দাম আরও বাড়ানোর দাবি



বিড়ি, সিগারেটসহ সব ধরনের তামাকপণ্যের দাম আরও বাড়িয়ে জনগণের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে নিয়ে যাওয়ার দাবি জানিয়েছেন অর্থনীতিবিদ ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ।
শনিবার (২২ জুন) রাজধানীতে জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে আয়োজিত ‘তামাক কর: বাজেট প্রতিক্রিয়া ২০১৯-২০’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলন থেকে ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে অন্তর্ভুক্তির জন্য ৭ দফা প্রস্তাব তুলে ধরা হয়।
কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ বলেন, ‘প্রস্তাবিত বাজেটে বিড়ি ও নিম্নস্তরের সিগারেটের দাম প্রায় অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। জনগণের মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি পাওয়ায় এসব পণ্য আরও সস্তা হয়ে যাবে। কার্যকর তামাক নিয়ন্ত্রণের জন্য বিড়ি-সিগারেটসহ সব ধরনের তামাকপণ্যের দাম আরও বাড়িয়ে জনগণের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে নিয়ে যেতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘সিগারেটের শুল্ক না বাড়ানোর যে সিদ্ধান্ত সরকার নিতে যাচ্ছে তাতে তামাক কোম্পানির আয় ৩১ শতাংশ পর্যন্ত বাড়তে পারে। সরকারের উচিত তামাকপণ্যে সম্পূরক শুল্ক বাড়িয়ে এ খাত থেকে রাজস্ব বাড়ানো।’
অ্যান্টিটোব্যাকো মিডিয়া অ্যালায়েন্স—আত্মা’র কো-কনভেনর নাদিরা কিরণ লিখিত বক্তব্যে বলেন, ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে বিড়ি ও নিম্নস্তরে সিগারেটের দাম প্রায় অপরিবর্তিত রাখায় এগুলোর প্রকৃত মূল্য হ্রাস পাবে, ব্যবহার বাড়বে। অন্যদিকে টানা তৃতীয় বছরের মতো সিগারেটের সম্পূরক শুল্ক প্রায় অপরিবর্তিত রাখায় তামাক কোম্পানিগুলো ব্যাপকভাবে লাভবান হবে।
সংবাদ সম্মেলনে বাজেটে অন্তর্ভুক্তির জন্য ৭টি প্রস্তাব তুলে ধরা হয়। এর মধ্যে নিম্নস্তরে ১০ শলাকা সিগারেটের খুচরা মূল্য ৩৭ টাকার পরিবর্তে ৫০ টাকা নির্ধারণ করা, ১০ শলাকা সিগারেটে ৫ টাকা করারোপ করা, ১০ গ্রাম জর্দার খুচরা মূল্য ৩৫ টাকা এবং ১০ গ্রাম গুলের খুচরা মূল্য ২০ টাকা নির্ধারণ করা এবং সব ধরনের ই-সিগারেট ও হিটেড (আইকিউওএস) তামাকপণ্যের উৎপাদন, আমদানি ও বাজারজাতকরণ নিষিদ্ধ করা উল্লেখযোগ্য।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)-এর সাবেক চেয়ারম্যান ড. নাসির উদ্দিন আহমেদ, ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ-এর প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি জাতীয় অধ্যাপক ব্রিগেডিয়ার (অব.) আব্দুল মালিক, প্রজ্ঞার নির্বাহী সম্পাদক এবিএম জুবায়ের, কো-অর্ডিনেটর মো. হাসান শাহরিয়ার প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনটি ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো ফ্রি কিডস্-এর সহায়তায় প্রজ্ঞা (প্রগতির জন্য জ্ঞান) ও অ্যান্টিটোব্যাকো মিডিয়া অ্যালায়েন্স—আত্মা’র উদ্যোগে তামাকবিরোধী সংগঠন ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন, ঢাকা আহছানিয়া মিশন, এসিডি, ইপসা, বিটা, সুপ্র ও তামাকবিরোধী নারী জোট (তাবিনাজ) যৌথভাবে আয়োজন করে।