মঙ্গলবার (২৫ জুন) বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে ওই প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।
আদালতে ইটাভাটা মালিকদের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আল আমিন সরকার ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল নাসিম ইসলাম।
এর আগে গত ২০ মে আদালতের আদেশ জালিয়াতি করে দিনাজপুরে ২৯ ইটভাটার কার্যক্রম চালানোর সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে সিআইডিকে তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে ইটভাটা পরিচালনায় হাইকোর্টের আদেশ জাল করার বিষয়টি তদন্ত করে দায়ীদের বিরুদ্ধে মামলা করতে দিনাজপুরের পুলিশ সুপারের প্রতি নির্দেশ দিয়েছিলেন আদালত।
প্রসঙ্গত, ‘দিনাজপুরে ইটভাটা চালাতে হাইকোর্টের জাল আদেশ’ শিরোনামে গত ২৩ এপ্রিল একটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদনটি আদালতে দাখিল করেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা।
এরপর গত ২৮ এপ্রিল দিনাজপুর জেলা প্রশাসক হাইকোর্টে দুটি আবেদন করেন। আবেদনে ইটভাটার মালিকদের আদালতে হাজির হতে এবং হাইকোর্টের আদেশ বিষয়ে জাল নথি তৈরি করার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা চাওয়া হয়।
ওই আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ২৯ ইটাভাটার সঙ্গে সম্পৃক্ত মালিকদের আদালতে হাজিরের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। গত ১৬ মে তাদের হাজিরের জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্ত হাইকোর্টের আদেশের কপি তাদের কাছে পৌঁছায়নি বলে পুনরায় দিন ধার্য করা হয়। গত ২০ মে হাইকোর্টে হাজির হন ইটভাটার মালিকরা। এরপর শুনানি নিয়ে আদালত জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন।