জনকণ্ঠের একাধিক প্রতিবেদক জানান, মালিকপক্ষের অসহযোগিতামূলক আচরণের মুখে হতাশ হয়ে শনিবার (২৯ জুন) চাকরি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন স্বদেশ রায়। কিন্তু শুক্রবার এ খবর জানাজানি হওয়ার পর সঙ্গে সঙ্গেই দুই শতাধিক সাংবাদিক-কর্মকর্তা ও কর্মচারী তাকে নিজ কার্যালয়ে ‘ঘেরাও’ করে সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের অনুরোধ জানান।
প্রতিষ্ঠানের জ্যেষ্ঠ একজন প্রতিবেদক বলেন, ‘আমরা শুক্রবার সাংবাদিক স্বদেশ রায়কে বলেছি প্রতিষ্ঠানের স্বার্থে আপনাকে জনকণ্ঠের সঙ্গে থাকতে হবে। অন্যথায় আমরা গণপদত্যাগ করবো।’
রাজনৈতিক বিটের একজন প্রতিবেদক জানান, ওই সময় জনকণ্ঠের প্রধান বার্তা সম্পাদক কামরুল ইসলাম, বার্তা সম্পাদক হামিদুজ্জামান, আলী হাসান, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের দৈনিক জনকণ্ঠ ইউনিট চিফ রাজন ভট্টাচার্য প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শী একজন প্রতিবেদক জানান, সকলের পক্ষ থেকে জনকণ্ঠ না ছাড়তে স্বদেশ রায়কে অনুরোধ করেন পত্রিকাটির কর্মীরা। এসময় আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়।
এর পরিপ্রেক্ষিতে জনকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক শনিবার সকাল পর্যন্ত সময় চান। শনিবার সকালে রিপোর্টারদের সাপ্তাহিক মিটিংয়ের শুরুতেই সকলের পক্ষ থেকে আবারও স্বদেশ রায়কে সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের অনুরোধ করেন ডেপুটি এডিটর ওবায়দুল কবীর। তাতেও নিজের সিদ্ধান্তে অটল থাকলে সব সাংবাদিক ফের সিদ্ধান্ত পরিবর্তনে জোর দাবি জানান। পরে এক পর্যায়ে সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের ঘোষণা দিয়ে স্বদেশ রায় বলেন, ‘ভবিষ্যতে মালিকপক্ষের অসৌজন্যমূলক আচরণের কারণে যদি কর্মপরিবেশ নষ্ট হয়, তাহলে আমি পদত্যাগ করে চলে যাবো।’ সিদ্ধান্ত পাল্টানোয় সবাই তাকে অভিনন্দন জানান।