আবদুস সালাম বলেন, ‘‘অল্প সময়ের মধ্যে মূল আসামিকে চিহ্নিত করতে পেরেছে পুলিশ। তাকে ধরতে পেরেছে। আমি চাই দ্রুত সময়ের মধ্যে, তিন মাস থেকে ছয় মাসের মধ্যে তাকে প্রকৃত শাস্তি দেওয়া হোক। সর্বোচ্চ শাস্তি দেওয়া হোক। সে যেহেতু আমার মেয়েকে দুই রকম নির্যাতন করে হত্যা করেছে, তাকে ছয় মাসের মধ্যে ফাঁসি দেওয়া হোক। আমি আমার মেয়েকে রক্ষা করতে পারিনি। আমার স্ত্রী আমাকে জানালো, মেয়ে তাকে বলে ১০ মিনিটের জন্য আমি আটতলার বাচ্চাটার সঙ্গে খেলে এসে আম্মু আমি তোমাকে পড়াগুলো দেবো।’’ সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টা থেকে সাড়ে সাতটার মধ্যে এ ঘটনা ঘটে গেলো। আমি নামাজ পড়ে এসে আর মেয়েকে পেলাম না।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার (৫ জুলাই) রাত ৯টার দিকে ওয়ারীর বনগ্রামের একটি বহুতল ভবনের ৯ তলার খালি ফ্ল্যাটের রান্নাঘরের মেঝে থেকে শিশু সায়মার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। সন্ধ্যার পরে তার মাকে খেলতে যাওয়ার কথা বলে বাসা থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয় সে। অনেক খোঁজাখুঁজির পর ভবনের নয়তলায় খালি ফ্ল্যাটের ভেতরে মেঝেতে গলায় দড়ি দিয়ে বাঁধা এবং মুখ রক্তাক্ত অবস্থায় সায়মাকে পড়ে থাকতে দেখেন তার পরিবাবের সদস্যরা। বহুতল ভবনটির ছয়তলার একটি ফ্ল্যাটে নিহত শিশুটি পরিবাবের সঙ্গে থাকতো। তার বাবার নাম আবদুস সালাম। চার ভাইবোনের মধ্যে সবার ছোট ছিল সায়মা। সে একটি স্কুলে নার্সারিতে পড়াশোনা করতো।