জানা যায়, গত সোমবার (৮ জুলাই) ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে। প্রশ্নপত্রে দেখা গেছে, ‘অদ্ভুত এক ধরনের মানুষ সেফাতুল্লাহ সেফুদা। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি বিভিন্ন ধরনের কুরূচিপূর্ণ মন্তব্য করেন। তরুণদের উদ্দেশে সে বলে-‘মদ খাবি মানুষ হবি। দেখ আমি আরও এক গ্লাস খাইলাম। তার কথার প্রতিবাদ করে একজন বিজ্ঞ আলেম বললেন, ‘তার মধ্যে যদি ঈমানের সর্ব প্রথম ও সর্বপ্রধান প্রভাব পরিলক্ষিত হতো, তাহলে সে হয়ে উঠতো একজন আত্মসচেতন ও আত্মমর্যাদাশীল ব্যক্তি।”
সেফুদার এই বিষয়টি নিয়ে ১ নম্বর প্রশ্নের সৃজনশীল ‘ক’ নম্বরে বলা হয়েছে ‘আকাইদ কী?, ‘খ’ নম্বরে বলা হয়েছে, ‘ইসলামের নাম ইসলাম রাখা হয়েছে কেন?’ ‘গ’ নম্বরে বলা হয়েছে, ‘বিজ্ঞ আলেমের বক্তব্যে যে বিষয়টি ফুটে উঠেছে, তা আমাদের জীবনে কী প্রভাব ফেলতে পারে তা ব্যাখ্যা করো’। ‘ঘ’ নম্বর প্রশ্নে বলা হয়েছে, তরুণদের উদ্দেশে দেওয়া সেফুদার বক্তব্য কীসের শামিল? এর ফলাফল বিশ্লেষণ করো।
পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে সেফুদার মতো বিতর্কিত ব্যক্তির বিষয়টি কেন আনা হলো, তা জানতে রাজউক উত্তরা মডেল কলেজের অধ্যক্ষ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কাজী শওকত আলমের সঙ্গে মোবাইলফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
প্রসঙ্গত, সেফুদা একজন বিতর্কিত ফেসবুক সেলিব্রেটি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন কুরূচিপূর্ণ মন্তব্য ও গালাগাল করে আলোচনায় আসেন তিনি। বিভিন্ন লাইভে কথা বলার সময় তার কিছু বিশেষ সংলাপ বিতর্কিত ও আকর্ষণীয় হয়ে উঠে। এসব সংলাপের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে— ‘মদ খা, মানুষ হবি’, ‘কী? হিংসে হয়’, ‘আমার মতো হতে চাও’ ইত্যাদি। অস্ট্রিয়া প্রবাসী সেফুদার গ্রামের বাড়ি চাঁদপুর। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছেন তিনি। ১৯৯০ সাল থেকে অস্ট্রিয়ার রাজধানীর ভিয়েনায় বসবাস করছেন সেফুদা। তার পরিবারের দেওয়া তথ্যমতে, তিনি মানসিক রোগে আক্রান্ত।