মুহাম্মদ জাহাঙ্গীরের ছেলে অপূর্ব জাহাঙ্গীর জানান, ৮ জুলাই বেলা ১১টা থেকে লাইফ সাপোর্টে ছিলেন বাবা। মঙ্গলবার রাত ১২টা ৪০ মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
তিনি জানান, বাবার মরদেহ হিমঘরে রাখা হয়েছে। বুধবার (১০ জুলাই) সকাল ৮টায় রাজধানীর শান্তি নগরের কুলসুম টাওয়ারের বাসায় নেওয়া হবে।
বুধবার (১০ জুলাই) সকাল ৮ টার কিছু পরে শান্তিনগরে নিজ বাসভবনে তার মরদেহ নিয়ে আনা হয়েছে। অপূর্ব জাহাঙ্গীর জানান, এখানে কিছুক্ষণ রাখা হবে বাবার মরদেহ। বেলা ১১টায় তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় প্রেস ক্লাবে। সেখানে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে বাদ আসর তার দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে শান্তিনগরের চামেলিবাগ জামে মসজিদে। জানাজা শেষে তার লাশ মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানের দাফন করা হবে।
এদিকে মৃত্যুর খবর শুনে মুহাম্মদ জাহাঙ্গীরের শান্তিনগরের বাসায় আসতে শুরু করেছেন তার আত্মীয়স্বজন ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা। তার মরদেহ বর্তমানে বাসার নিচেই রাখা হয়েছে। তাকে দেখতে সকাল ৯টার দিকে শান্তিনগরের বাসায় আসেন বড় ভাই প্রফেসর ড. ইউনূস।
প্রসঙ্গত, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর ১৯৭০-এর দশকের প্রথম দিকে প্রিন্ট মিডিয়ায় সাংবাদিকতা শুরু করেন। পরে তিনি ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় যুক্ত হন। এছাড়া সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলেও যুক্ত ছিলেন তিনি। নাচের সংগঠন নৃত্যাঞ্চল ড্যান্স কোম্পানির সমন্বয়কের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক থিয়েটার ইনস্টিটিউট (আইটিআই) বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের নির্বাহী কমিটির সদস্য ছিলেন তিনি।