আইসিসি প্রতিনিধিদল ঢাকায়

2ffbfb868b53dbe8eb53709a638a4e30-5981e8884a3d8

রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতনের ঘটনার তদন্ত করার বিষয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে আলোচনার জন্য ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল কোর্ট (আইসিসি) এর প্রতিনিধিদল ঢাকায় এসেছে। একজন ডেপুটি প্রসিকিউটরের নেতৃত্বে ওই দল পররাষ্ট্র, স্বরাষ্ট্র ও আইন বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। তারা কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্পও পরিদর্শন করবেন।

উল্লেখ্য, এখানে তদন্ত করতে গেলে বাংলাদেশের সঙ্গে একটি চুক্তি করতে হবে আইসিসিকে। পৃথিবীর যেখানেই আইসিসি তদন্ত করেছে ওই দেশগুলির সঙ্গে চুক্তি করতে হয়েছে তাদের। এটি তদন্ত করার একটি পূর্বশর্ত।

এবারে দ্বিতীয়বারের মতো প্রতিনিধিদল পাঠিয়েছে আইসিসি। বাংলাদেশে মাঠ পর্যায়ের অবস্থা কী এবং তদন্ত করার পরিবেশ সম্পর্কে ধারণা নেওয়ার জন্য গত মার্চে প্রথম দলটি ঢাকা সফর করে। ওই সময়ে তারা পররাষ্ট্র, আইন মন্ত্রণালয়সহ সরকারের অন্যান্য এজেন্সিগুলির সঙ্গে বৈঠক করে।

এর আগে, জুলাই এর প্রথম সপ্তাহে আইসিসির প্রধান কৌঁশলি ফেতু বেনসুদা মিয়ানমার হতে রোহিঙ্গা জনগণের নির্বাসন ও তাদের বিরুদ্ধে করা অন্যান্য অমানুষিক কাজকর্ম ও অত্যাচারের অর্থাৎ মানবতার বিরুদ্ধে সংঘটিত অপরাধ তদন্ত করার অনুমতি চেয়েছেন। মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধগুলির অন্তত একটি অংশ যা বাংলাদেশের এলাকায় ঘটেছে এবং এসব ঘটনার সঙ্গে জড়িত ঘটনাগুলির তদন্ত শুরু করার অনুমোদনের ব্যাপারে তিনি বিচারপতিদের কাছে অনুরোধ করেছেন।  

রাখাইনে ৯ অক্টোবর ২০১৬ থেকে শুরু করে যে অপরাধ হয়েছে সেটি এই তদন্তের অন্তর্ভুক্ত।

উল্লেখ্য, গত বছরের ৯ এপ্রিল ফেটু আদালতের বিচারপতিদের কাছে রোহিঙ্গা জনগণের মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে কথিত নির্বাসনের বিষয়ে এক্তিয়ারের প্রশ্নের ওপর আইনি নির্দেশের জন্য একটি অনুরোধ করেছিলেন।

কৌঁশুলি তার আবেদনে বলেন, যে সাত লাখ রোহিঙ্গাকে নানা ধরনের জোরজবরদস্তিমূলক কাজের মাধ্যমে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে নির্বাসন করা হয়েছে সেটি বিশ্বাস করার যথাসঙ্গত ভিত্তি বিদ্যমান।

তিনি আরও বলেন, এটি বিশ্বাস করার কারণ রয়েছে এজন্য যে, ২০১৭ সালের রাখাইনে রোহিঙ্গারা হিংস্রতার শিকার হয় এবং এই অপরাধগুলি অংশত মিয়ানমারের অঞ্চলে এবং অংশত বাংলাদেশ অঞ্চলে সংঘটিত হয়েছিল।