গ্রিনলাইনের পক্ষে মামলায় লড়বেন না আইনজীবী ওজি উল্ল্যাহ

রাসেল সরকারগ্রিনলাইন পরিবহনের আইনজীবী হিসেবে নিজের নাম প্রত্যাহার করে আবেদন করেছেন আইনজীবী মো. ওজি উল্ল্যাহ। আদালতের আদেশ অনুযায়ী পা হারানো প্রাইভেটকার চালক রাসেলকে ক্ষতিপূরণ না দেওয়ায় এবং নিজেদের আইনজীবীর সঙ্গে যোগাযোগ না করায় তিনি এ সিদ্ধান্ত নেন। গ্রিনলাইন কর্তৃপক্ষের হয়ে আর মামলায় লড়বেন না বলে জানিয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে নাম প্রত্যাহার চেয়ে আবেদন জানান তিনি। পরে আদালত মামলার পরবর্তী আদেশের জন্য রবিবার (২১ জুলাই) দিন নির্ধারণ করেন। এ সময় রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন খন্দকার সামসুল হক রেজা। আর রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আলম মাহমুদ বাশার।
এর আগে গত ২৫ জুন রাসেলকে ক্ষতিপূরণের অবশিষ্ট ৪৫ লাখ টাকা কিস্তিতে প্রতিমাসে ৫ লাখ টাকা করে পরিশোধের নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে প্রতি মাসের ৭ তারিখের মধ্যে কিস্তির টাকা পরিশোধ করে সেই মাসের ১৫ তারিখে আদালতকে জানাতে এবং পরদিন ১৬ তারিখ মামলার শুনানির দিন নির্ধারণ করেছিলেন আদালত। কিন্তু চলতি মাসের ৭ তারিখের মধ্যে গ্রিনলাইন পরিবহন তাদের নিজেদের আইনজীবীর সঙ্গে যোগাযোগ করেনি বলে আদালতকে জানানো হয়।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ২৮ এপ্রিল মেয়র মোহাম্মদ হানিফ ফ্লাইওভারে কথা কাটাকাটির জেরে গ্রিন লাইন পরিবহনের চালক রাসেল সরকারের (২৩) পায়ের ওপর দিয়ে বাস চালিয়ে দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই প্রাইভেটকার চালক রাসেল সরকারের বাম পা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। পা হারানো রাসেল সরকারের বাবার নাম শফিকুল ইসলাম। গ্রামের বাড়ি গাইবান্ধার পলাশবাড়িতে। ঢাকার আদাবর এলাকার সুনিবিড় হাউজিং এলাকায় তার বাসা। এ ঘটনায় সংরক্ষিত আসনের সাবেক সংসদ সদস্য উম্মে কুলসুম স্মৃতি হাইকোর্টে ক্ষতিপূরণ চেয়ে রিট করেন। পরে আদালত ওই রিটের শুনানি নিয়ে গত ২০ মার্চ রুল জারিসহ রাসেলকে ৫০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে রাসেলের চিকিৎসা সংক্রান্ত যাবতীয় খরচ গ্রিন লাইন পরিবহন কর্তৃপক্ষকে বহন এবং তার কৃত্রিম পা লাগানোর ব্যবস্থা করতে বলা হয়। এরপর রাসেলকে ৫ লাখ টাকার চেক ও তার কৃত্রিম পা সংযোজন করে গ্রিন লাইন পরিবহন।

 আরও পড়ুন: আদালতের আদেশ না মানায় গ্রিন লাইন পরিবহনের ব্যবস্থাপককে তলব