বিদেশি দুধের বাজার তৈরি হোক তা আমরা চাই না: অধ্যাপক ফারুক

1

দেশীয় দুগ্ধশিল্প বিকাশের কথা উল্লেখ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমেডিক্যাল রিসার্চ সেন্টারের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক আ ব ম ফারুক বলেছেন, ‘আমরা কোনও ব্র্যান্ড বা কোম্পানির বিরুদ্ধে বলছি না। আমরা চাই, দেশীয় দুগ্ধশিল্প বিকশিত হোক। বিদেশি দুধের বাজার এদেশে তৈরি হোক তা আমরা চাই না।’

বুধবার (১৭ জুলাই) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর-রুনি মিলনায়তনে ‘ঢাবি অধ্যাপকের পাস্তুরিত দুধ নিয়ে গবেষণা: জনস্বার্থে করণীয়’ শীর্ষক সভায় এই মন্তব্য করেন তিনি। 

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের দোষারোপের সংস্কৃতি বন্ধ করতে হবে। সরকারি কর্মকর্তারা ভোক্তাদের পক্ষে কথা না বলে মারমুখী হয়ে আছেন। কোম্পানির পক্ষের কথা কেন সরকারি কর্মকর্তারা বলবেন? ভোক্তার প্রত্যাশা ও কোম্পানির স্বার্থের মধ্যে সমন্বয় করে কথা বলেন। রাগারাগি করে এই সমস্যার সমাধান হবে না।’

‘পিআর রিভিউতে গবেষণা প্রকাশ না করে অপরাধ করেছেন’ সরকারি কর্মকর্তার এমন বক্তব্যের জবাবে তিনি বলেন, ‘পিআর রিভিউতে মৌলিক গবেষণা দিতে হয়। আমি যেটা করেছি, সেটা দুধে পানি ছিল কিনা তা বের করার গবেষণা। সেখান থেকে বেরিয়ে এসেছে দুধে অ্যান্টিবায়োটিক আছে। পিআর জার্নালে গবেষণা প্রকাশ হতে এক থেকে দেড় বছর সময় লাগে। সেই জার্নালে প্রকাশের পর যদি আমি এই ফলাফল প্রকাশ করতাম, তাহলে জনগণ কী আমাকে ক্ষমা করতো? পৃথিবীর কোনও দেশে জনস্বাস্থ্যবিষয়ক ইস্যুগুলো পিআর জার্নালের মাধ্যমে আসতে হয় না।’

অধ্যাপক আ ব ম ফারুককে সাধুবাদ জানিয়ে পবা’র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. লেলিন চৌধুরী বলেন, ‘দুধ একটি অতি প্রয়োজনীয় খাদ্য, যা শিশু, বৃদ্ধসহ সব বয়সী মানুষেরা খায়। এখানে ভেজাল মিশিয়ে একটি গোষ্ঠী দেশের মানুষকে বিপদের মুখে ঠেলে দিচ্ছিলো। যে গবেষক এই বিষয়টি সামনে নিয়ে এসেছেন, তাকে অবশ্যই বাহবা দিতে হবে।’

সভায় আরও বক্তব্য রাখেন ডক্টরস ফর হেলথ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টের প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক মো. আবু সাঈদ, ডাব্লিউবিবি ট্রাস্টের পরিচালক গাউস পিয়ারী, বিসিএইচআরডি’র প্রেসিডেন্ট মাহাবুবুল হক, নিরাপদ পানি আন্দোলনের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার আনোয়ার হোসেন প্রমুখ।

সভাটির আয়োজন করে পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা), ডব্লিউবিবি ট্রাস্ট, জনউদ্যোগ, বিসিএইচআরডি, সুবন্ধন, ডক্টরস ফর হেলথ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট, পরিবেশ আন্দোলন মঞ্চ, এএসবিডি ও গ্রিনফোর্স।