প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলোয় স্বাস্থ্যসেবা সংকটের কারণ উল্লেখ করে ডা. ইকবাল আনোয়ার বলেন, ‘এই সংকটের প্রধান কারণগুলোর মধ্যে কেন্দ্রমুখী স্বাস্থ্যব্যবস্থা, তদারকি ও সুশাসনের কার্যকরী কাঠামোর অভাব উল্লেখযোগ্য। এছাড়া, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন কার্যালয়ের প্রাতিষ্ঠানিক দক্ষতার অভাব, সেবাদানকারীদের জন্য পর্যাপ্ত প্রণোদনার অভাব, প্রত্যন্ত অঞ্চলে চিকিৎসকদের নাগরিক জীবনযাপনের ন্যূনতম সুযোগসুবিধা না থাকা, অনিয়ন্ত্রিতভাবে বেসরকারি হাসপাতালের সংখ্যাবৃদ্ধির স্বাস্থ্যসেবা খাতের অবস্থা প্রতিনিয়ত ঝুঁকির মধ্যে পড়ছে।’
স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সমস্যায় অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের সমন্বিত পদ্ধতিতে কাজ করার মাধ্যমে সমাধানে আসতে হবে। তবেই সমস্যাগুলোর সমাধান সম্ভব হবে।’
স্বাস্থ্য অধিদফতরের সাবেক মহাপরিচালক ডা. এমএ ফয়েজ বলেন, ‘এই সংলাপের মাধ্যমে বাস্তবধর্মী সমাধানের প্রস্তাবনা এসেছে, তা নীতিনির্ধারকদের কাছে তুলে ধরা হবে।’
প্রসঙ্গত, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন সমর্থিত, আইসিডিডিআরবি’র ‘স্ট্রেন্থেদেনিং হেল্থ, অ্যাপ্লায়িং রিসার্চ এভিডেন্স (শেয়ার)’ প্রকল্পের উদ্যোগে ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ‘স্বাস্থ্যনীতি সংলাপ’ শুরু করা হয়েছিল। এরই ধারাবাহিকতায় চতুর্থবারের মতো স্বাস্থ্য বিষয়ক সংলাপটির আয়োজন করা হয়। এতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌসের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য দেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং স্বাস্থ্য অধিদফতরের সমন্বয়ক ও সহায়তা কেন্দ্রের সমন্বয়কারী ড. মুশতাক হোসেন।