বুধবার (২৪ জুলাই) ঢাকা মহানগর হাকিম মোহাম্মদ জসিম শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
এদিন দুপুরে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক আবদুর রাজ্জাক মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে ও অজ্ঞাতনামা আসামিদের খুঁজে বের করতে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে আসামিকে আদালতে হাজির করেন।
আদালতে সংশ্লিষ্ট থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা লিয়াকত আলী বাংলা ট্রিবিউনকে এসব তথ্য জানান।
আসামি পক্ষে কোনও আইনজীবী ছিলেন না আদালতে।
এ পর্যন্ত রেণু হত্যা মামলায় ৭ জনকে গ্রেফতার করেছে সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশ। এর মধ্যে ৬ জনকে রিমান্ডে পাঠালেন আদালত। অপর আসামি ফৌজদারি কার্যবিধি ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জের ভুলতা এলাকা থেকে হৃদয়কে গ্রেফতার করে গোয়ন্দা পুলিশ (ডিবি)।
উল্লেখ্য, গত শনিবার (২০ জুলাই) সকালে রাজধানীর উত্তর বাড্ডা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিজের সন্তানের ভর্তির ব্যাপারে খোঁজ নিতে গিয়েছিলেন তাসলিমা বেগম রেণু। ছেলেধরা সন্দেহে তাকে পিটিয়ে হত্যা করে বিক্ষুব্ধ জনতা। এ ঘটনায় ওই রাতেই বাড্ডা থানায় অজ্ঞাত ৪০০-৫০০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন নিহতের ভাগ্নে সৈয়দ নাসির উদ্দিন টিটু। হৃদয় এ মামলার প্রধান আসামি।
পুলিশ জানায়, হৃদয় পেশায় সবজি বিক্রেতা। উত্তর বাড্ডা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনেই সে সবজি বিক্রি করতো। ঘটনার দিন রেণুকে ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষকের রুম থেকে ছেলেধরা সন্দেহে টেনেহেঁচড়ে বের করে উৎসুক জনতার একাংশ। এরপর স্কুলেরই একটি রুমে আটকে রাখে তাকে। একপর্যায়ে উত্তেজিত জনতা ওই রুমের তালা ভেঙে তাকে বের করার পর প্রথমে পেটাতে শুরু করে হৃদয়।