দুদক পরিচালক মুহাম্মদ ইউসুফ গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। পার্থর বর্তমান কর্মস্থল সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগার।
এর আগে এদিন সকালে সেগুনবাগিচায় দুদক প্রধান কার্যালয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। দুপুরে তাকে নিয়ে ঘুষসহ দুর্নীতির মাধ্যমে আয় করা টাকা উদ্ধারে অভিযানে বের হয় দুদক টিম। ধানমন্ডির নর্থ রোডের (ভূতের গলি) ২৭-২৮/১ নম্বর বাসার বি/৬ নম্বর ফ্ল্যাটে অভিযান চালায় তারা। দুদকের দাবি, ফ্ল্যাটটির মালিক পার্থ। তার স্ত্রীসহ পরিবারের সদস্যরাও সেখানে বসবাস করেন।
তবে পার্থর দাবি, ফ্ল্যাটটি তার শাশুড়ি মঞ্জু সাহার। দুদক টিম পার্থর ব্যবহার করা একটি প্রাইভেটকারও জব্দ করেছে। প্রাইভেটকারটি পার্থর বন্ধু শাহিনের বলে পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে।
পরে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিষয়ে অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। তাদের সম্পদের হিসাববিবরণীও চাওয়া হয়। এর অংশ হিসেবে পার্থ গোপাল বণিকও সম্পদের হিসাববিবরণী জমা দিয়েছেন।
দুদক পরিচালক মুহাম্মদ ইউসুফ জানান, এদিন পার্থকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুদকে ডাকা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে তিনি স্বীকার করেন, ভূতের গলির বাসায় ৩০ লাখ টাকা আছে। এভাবে পরে আরও তথ্য দেন। সে অনুযায়ী অভিযান চালিয়ে পার্থর বাসা থেকে ৮০ লাখ টাকা উদ্ধার এবং একটি গাড়ি জব্দ করা হয়।