২০১৮ সালের ২৯ জুলাইয়ে সংঘটিত সড়ক দুর্ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে দিয়ার বাবা বলেন, ‘যখন দুর্ঘটনা ঘটে, তখন ওরা তো রাস্তার পাশে বাসের জন্য অপেক্ষা করতেছিল। বাসের ড্রাইভার তো দূর থেকেই দেখতেছিল। তারপরও দুই গাড়ি রেষারেষি করে বেপরোয়াভাবে আসতেছিল। ড্রাইভাররা যদি দক্ষ হতো, তাহলে তারা এই কাজ করতো না। প্রথম যে গাড়ি এসেছে, তাতে রাজীব গিয়ে হ্যান্ডেল ধরে উঠতে চেয়েছিল, এর ভেতরে বাম সাইড দিয়ে পেছনের গাড়িচালক মাসুম বিল্লাহর গাড়ি চলে আসে। তখন তো বাম দিকে জায়গা ছিল না, তখনই রাজীব বাস থেকে পড়ে যায় এবং সেখানেই মারা যায়। আর আমার মেয়েটা দেয়ালের সঙ্গে মিশে যায়। দেয়াল ও গাছসহ পড়ে যায়।’
দিয়ার বাবা বলেন, ‘আমি এই হত্যাকাণ্ডের উপযুক্ত বিচার চাই।’ আরও কোনও বাবা যেন তার মেয়েকে না হারায় বলেই তিনি আবারও ডুকরে কেঁদে ওঠেন।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ২৯ জুলাই রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কে জিল্লুর রহমান ফ্লাইওভারের ঢালের সামনের রাস্তায় জাবালে নূর পরিবহনের দুই বাসের প্রতিযোগিতার সময় একটি বাস রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা শিক্ষার্থীদের চাপা দেয়। এতে শহীদ রমিজউদ্দিন কলেজের শিক্ষার্থী দিয়া খানম মীম ও আব্দুল করিম রাজীব মারা যায়। এই ঘটনায় মীমের বাবা জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলা করেন।