উত্তরে ৫ হাজার ৩শ’, দক্ষিণে ৮ হাজার ৫শ’ মেট্রিক টন বর্জ্য ডাম্পিং

দুই সিটি করপোরেশনের বর্জ্য সংগ্রহের আনুষ্ঠানিক শুরুর সময়কার ছবি

ঈদের দিন কোরবানির পশুর উৎপাদিত বর্জ্য ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অপসারণের ঘোষণা দিয়েছে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি ও ডিএনসিসি)। সোমবার (১২ আগস্ট) দুপুর একটা থেকে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরশন ও বিকেল সাড়ে তিনটা থেকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন আনুষ্ঠানিকভাবে বর্জ্য সংগ্রহের কাজ শুরু করেছে। এরই মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি সাড়ে ৮ হাজার মেট্রিক টন বর্জ্য সংগ্রহ করে মাতুয়াইলে ডাম্পিং করেছে। অপরদিকে উত্তর সিটি ৫ হাজার ৩০০ মেট্রিক টন বর্জ্য তাদের আমিনবাজার ল্যান্ডফিলে ডাম্পিং করে। দুই সিটি করপোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ সূত্র এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে।

ডিএসসিসির বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ সূত্র জানায়, প্রতিবছরের মতো এবারের কোরবানির ঈদে মহানগর দক্ষিণ এলাকায় প্রায় ১৫-২০ হাজার মেট্রিক টন বর্জ্য হতে পারে। বৃষ্টি হলে এর পরিমাণ আরও বাড়বে। এই দুই বিষয় মাথায় রেখে বর্জ্য অপসারণের সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়। কোরবানির বর্জ্য সংগ্রহ করে মাতুয়াইল নেওয়ার জন্য খোলা ট্রাক, কন্টেইনার বক্স, কন্টেইনার ক্যারিয়ার, ডাম্পার ট্রাক, কম্পেক্টর, পে-লোডার, পানির গাড়ি ও টায়ার ডোজারসহ ৩৮২টি যান-যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা হচ্ছে। এর বাইরে ঈদের আগের রাতে কোরবানির পশুর হাট পরিষ্কারের জন্য ৩৪টি ট্রাক ও ঈদের দিন বর্জ্য পরিষ্কারের জন্য ১১৭টি খোলা ট্রাক নিয়োজিত রয়েছে।

কোরবানির বর্জ্য অপসারণে সংস্থাটির ৯ হাজার ৪৯৩ জন পরিচ্ছন্নতাকর্মী কাজ করছে। আর একাজে ৬০০ ভ্যানসহ ৩৮২টি যান-যন্ত্র ব্যবহার করা হচ্ছে।

জানতে চাইলে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নির্বাহী প্রকৌশলী আ হ ম আব্দুল্লাহ হারুন বলেন, ‘রাত ৯টা পর্যন্ত আমাদের মাহফিলে ৮ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন বর্জ্য মাতুয়াইল ল্যান্ডফিলে ডাম্পিং করা হয়েছে। আমাদের সব কর্মকর্তা-কর্মচারী আন্তরিক হয়ে কাজ করছে। নির্ধারিত সময়ে আগে কোরবানির প্রথম দিনের বর্জ্য অপসারণ করা হবে।’   

উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মো. মঞ্জুর হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত আমাদের ল্যান্ডফিলে ৫ হাজার ৩০০ মেট্রিক টন বর্জ্য ডাম্পিং করা হয়। আমাদের ডিএনসিসির এলাকায় ১০ হাজার বর্জ্য উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে। সেই টার্গেটকে সামনে রেখে আমরা কাজ করছি।’  

জানা যায়, এ কাজে তাদের নিজস্ব ২ হাজার ৪০০ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ১ হাজার ৪৩৫ জন পরিচ্ছন্নতা কর্মী কাজ করছে। এছাড়া আরও ১ হাজার ১০০ জন পরিচ্ছন্নতা কর্মী এবং বাসা-বাড়ি থেকে ভ্যান সার্ভিসের মাধ্যমে বর্জ্য সংগ্রহ করার জন্য প্রায় ৪ হাজার ৫০০ জন শ্রমিক কোরবানির বর্জ্য অপসারণে নিয়োজিত করা হয়েছে।

ঈদের দিন হতে কোরবানির পশুর বর্জ্য নিরবচ্ছিন্নভাবে অপসারণের জন্য ডাম্প ট্রাক ও খোলা ট্রাক ১৬৯টি, ভারী যান-যন্ত্রপাতি ২৮টি, পানির গাড়ি ১১টি, বেসরকারি ৮২টি এবং ভাড়ায় ১৪৮টি পিকআপভ্যানসহ মোট ৪৩৮টি গাড়ি নিয়োজিত রয়েছে। দুই সিটি করপোরেশন তাদের টার্গেট অনুযায়ী এখন পর্যন্ত অর্ধেক বর্জ্য সংগ্রহ করেছে।